প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

ইমরান খানের ১০ বছর জেল

পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। কূটনৈতিক তারবার্তা (সাইফার) ফাঁসের মামলায় বিশেষ আদালত গতকাল মঙ্গলবার এই রায় দেন। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর ডনের।

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে গত বছর কারাবন্দি হন ইমরান খান। দেশটির হাইকোর্ট অবশ্য গত বছরের ২৯ আগস্ট ওই সাজা স্থগিত করেন। তবে তথ্য ফাঁস (সাইফার)-সহ অন্যান্য মামলায় তিনি জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ছিলেন। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টেই ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। তবে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, ভুলে গেছেন বলে ইমরান খান তাকে জানান এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেটা আর ফেরত দেননি।

গত ডিসেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের পাশাপাশি তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে চলা এই মামলার বিচারকাজের ওপর ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। আদেশে তিনি বলেছিলেন, মামলাটিতে ‘আইনি ত্রুটি’ রয়েছে।

ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে। সেখানেই বিশেষ আদালত বসিয়ে তারবার্তা ফাঁস মামলার কার্যক্রম চলছিল, তবে অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন ইমরান। এরপর আদালত এ সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

তবে গত ১৩ ডিসেম্বর ইমরান ও কুরেশিকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযুক্ত করা হয়। এরপর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীন গত মাসে আদিয়ালা কারাগারে নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন বিশেষ আদালত।

২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। সেনা সদর দপ্তরে হামলাসহ ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close