রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় তিনি জামিন পাবেন কি না, সে বিষয়ে আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন আদেশ দেবেন।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার ৯টি মামলায় তার জামিনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন দুপুর পৌনে ১২টায় কারাগার থেকে ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি চলার সময়ে মামলাগুলোয় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আর ফখরুলের আইনজীবী আসাদুজ্জামান তার জামিন চান। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক দুপুর ১টার ৫০ মিনিটে আদেশ দেন। ফখরুলের জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন রাখলেও তাকে আদালতে হাজির করার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান বিচারক।

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে এ মামলাগুলোয় জামিন আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্ট গত ১৮ ডিসেম্বর হাকিম আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে তখন রুলও জারি করেছিলেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাকিম আদালত রমনা ও পল্টন থানায় করা ১০ মামলায় মির্জা জামিন আবেদন গ্রহণ না করায় ১৪ ডিসেম্বর রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। ১০ মামলার মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা রিট আবেদনে বলা হয়। মামলাগুলো ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন বলেছিলেন, হাকিম আদালতে বিচারাধীন ১০টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার না দেখানোর কারণে জামিন আবেদন করা হয়, তবে বিচারিক আদালত তা গ্রহণ করেনি। ‘তখন জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়েই রিট করা হয়। তবে এর মধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোয় ৯ মামলার ক্ষেত্রে জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুসারে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’

"