‘তার গায়কি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তার গান গাওয়ার স্টাইল অনেককেই মুগ্ধ করে। কিন্তু ওনার যে দিকটি বেশি টানে, তা হলো তার ব্যক্তিত্ব। আমি বারবার-হাজারবার তার ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ি।’ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজিনা রুমা এভাবেই বলছিলেন। রুনা লায়লা তার প্রিয়শিল্পী। মঞ্চে ছোটবেলা থেকে বড়বেলায় এসেও রুনা লায়লার গাওয়া ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’ অনেকবার গেয়েছেন। কিন্তু এখন রুনা লায়লার গাওয়া ‘মাঝি তুমি মাঝ গাঙ্গে নাও বাইয়া যাও’, ‘জানিগো ফুরাবে রাত’ কিংবা ‘শেষ করোনা শুরুতে খেলা’ গানগুলোই রুমাকে বেশি টানে। রুনা লায়লা তার সুর করা গানগুলোর সংগীতায়োজন করে থাকেন লন্ডনের রাজা ক্যাশেফকে দিয়ে। সেই রাজা ক্যাশেফই তানজিনা রুমার ‘আঁধার সরিয়ে’ গানের সুর-সংগীত করেছিলেন। গানটি লিখেছেন কবির বকুল। আজ থেকে ১০ মাস আগে ইউটিউবে গানটির লিরিক্যাল ভার্সন প্রকাশ হয়। শ্রোতাপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহেদ শরীফ। আজ সন্ধ্যায় ইউটিউবে প্রকাশ পাবে ‘আঁধার সরিয়ে’ গানটির মিউজিক ভিডিও। তানজিনা রুমা বলেন, ‘কথা এবং সুর নিজের কাছেই ভালোলেগে ছিল। গানটির লিরিক্যাল ভার্সন প্রকাশ হওয়ার পর বেশ সাড়া পাই। যে কারণে বৃষ্টি মুখরিত এই দিনে গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’ এদিকে তানজিনা রুমার গানে হাতেখড়ি ওস্তাদ সাধন চন্দ্র বর্মণের কাছে। পরে তিনি ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, নীলুফার ইয়াসমিন, শিপ্রা বাসু (কলকাতা), অনীল কুমার সাহার কাছে গানে তালিম নেন। এখন পর্যন্ত তানজিনা রুমা ৬৫০-এরও অধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন। ২০০৩ সালে প্রথম ‘ঐক্যজোট’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেন। সর্বশেষ ‘হৃদ মাজারে রাখিব’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেন। তানজিনা রুমার প্রথম প্রকাশিত গানের অ্যালবাম ২০০১ সালে সাইফুল হোসেনের লেখা ও মাসুদ কোরাইশীর সুরে ‘বন্ধু তুমি কোথায়’। পরে ‘ভালোবাসার প্রথম চিঠি’, ‘নীল জোছনা’, ‘মেঘের দেশে’, ‘লুকোচুরি’, ‘সমীরণ’সহ কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।

"