মোতাহার হোসেন

  ২১ এপ্রিল, ২০২৪

মতামত

অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে করণীয়

বাঙালি এবং বাংলাদেশ সম্পদে ভরপুর ছিল সব সময়। যথাযথ সুযোগ, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির অভাবে সেই অপূরন্ত সম্পদকে কাজে লাগাতে পারেনি। পাল, সেন, মুঘল, ব্রিটিশ, এমনকি পাকিস্তানি শাসনামলেও ছিল এই অবস্থা। প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদে, প্রাচুর্যে ভরপুর বাংলার মানুষকে না খেয়ে, আধা পেটে, ক্ষুধা নিয়ে জীবন ধারণ করতে হয়েছে। স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে মানুষের অবস্থা ছিল এ রকমই। বরং তথ্য প্রমাণ আছে বাংলার সস্পদে পাল, সেন, মুঘল, ব্রিটিশ, এমনকি পাকিস্তানি শাসক, শোষক চক্র তাদের আখের গুছিয়েছে আর তাদের দেশের মানুষের ভাগ্য বদল করেছে। এভাবে বাংলাকে শোষণ আর সম্পদ পাচার করে এ দেশের মানুষকে, মানুষের ভাগ্যকে, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে, তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ধাবিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে হাজার বছর ধরে।

তবু মৃত্যুকে উপেক্ষা করে বীর বাঙালি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে আন্দোলন-সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের আন্দোলন-সংগ্রাম পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হলে বাঙালিকে পরাধীনতা শৃঙ্খলে ফের আবদ্ধ হতে হয়। কিন্তু ‘পরাজয়ে ডরে না বীর’। বাঙালি পরাধীনতা শৃঙ্খল ভাঙতে বিভিন্ন সময়ে নানা নামে আন্দোলন-সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে ক্ষমতাসীনদের হাতে অথবা বন্দি হয়ে কারা ভোগ করেছেন। এ পর্যায়ে হাজি শরীয়ত উল্লাহর নেতৃত্বে ফরায়েজি আন্দোলন। মূলত, ফরায়েজি আন্দোলন ছিল একটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলন। ১৯ শতকের প্রথম দিকে এটি সূচিত হয়েছিল। ফরাজী আন্দোলন ধর্মীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে সূচিত হলেও পরে কৃষকদের আন্দোলনে রূপ লাভ করে। পরে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, নাচোলে ইলা মিত্রের বিদ্রোহ, চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি চট্টগ্রামে ব্রিটিশদের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন।

এসব আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালে মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা রক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমে আসে দেশের ছাত্রসমাজ। এই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রক্তের বিনিময়ে অবশেষে মায়ের ভাষা বাংলা ভাষায় আমরা কথা বলার অধিকার অর্জন করি। পরে পাকিস্তানিদের শাসনের নামে এ দেশের সম্পদ সে দেশে পাচার, লুণ্ঠন, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে বীর বাঙালি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কিছু উচ্চবিলাষী এবং বিপথগামী সেনা সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২১ বছর দেশ শাসন করেছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও স্বৈরাচার। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এখন শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত এগোচ্ছে। কিন্তু নানা বৈষম্যের কারণে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার লক্ষ্য এবং ধনী-গরিবের বৈষম্য নিরসন এখনো সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানি শাসনামলে ২৪ কোটিপতি পরিবারের স্থলে এখন লক্ষাধিক কোটিপতি পরিবার সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈষম্য।

এদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাধীনতার পর যেখানে শুধু ভাত ও রুটির ওপর নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশ। পাঁচ দশকের ব্যবধানে সেখানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজি ও ফলমূল উৎপাদনেও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সব মিলিয়ে খাদ্যে অর্জন করেছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। এ কারণে দেশ একটু একটু করে পৌঁছে গেছে সমৃদ্ধির সোপানে। সেই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, স্যানিটেশনসহ অনেক সূচকে ৫৩ বছরে বহুদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু অভ্যন্তরেই নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলেও সুনাম কুড়াচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখন বিশ্ববাজারে অধিক সমাদৃত। এক কোটির বেশি বাংলাদেশি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। একসময়ের ভুখা, দরিদ্র বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। তবে অদক্ষতা, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সম্পদের সুষম বণ্টনের অভাবে বেড়েছে ধরী-গরিবের বৈষম্য। ধনীরাই দিন দিন ধনী হচ্ছেন। আর গরিবরা হচ্ছে অতি গরিব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, বিদায় অর্থবছরে (২০২২-২৩) দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা, যা আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা। শুধু তাই নয়, দেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও গড়ে বেশি আয় করেন। মাথাপিছু এ আয়ের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়েছে দেশ। অথচ দুই দশক আগেও ভারত ও পাকিস্তান বেশ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যেই মাথাপিছু জিডিপিতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় শক্তির দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অনন্য মডেল বাংলাদেশ। হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন- এইচএসবিসির সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চে বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ : আওয়ার লং-টার্ম প্রজেকশনস ফর ৭৫ কান্ট্রিজ’ শিরোনামের এ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি কমপক্ষে ১৬ ধাপে উন্নীত হবে, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় অধিক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ তালিকায় বাংলাদেশের পরই ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার নাম এসেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে উন্নত দেশ নরওয়ের চেয়েও বাংলাদেশের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এইচএসবিসির দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মডেলে দেখানো হয়েছে, ২০৩০ পর্যন্ত প্রতি বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে, যা রিপোর্টে উল্লিখিত ৭৫টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৭ শতাংশ এবং ২০২৮ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে পূর্বাভাবস দেওয়া হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের ৩০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ২০৩০ সালে পৌঁছাবে ৭০০ বিলিয়ন ডলারে। জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় অবস্থানে।

অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্য আয়ের দেশ। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে করোনার এই মহামারিকালেই। বিশ্বের বহু দেশ যখন করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে, স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতি, বাংলাদেশ সেখানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের বহু উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে অনেকের আগে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশে সমৃদ্ধি অর্জিত হলেও স্বাধীনতার অন্যতম মূল লক্ষ্য বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব হয়নি। বরং দিনে দিনে এই বৈষম্য বেড়েছে অনেক গুণ। ব্যাংক খাতের আমানতের অর্ধেকেরই মালিক দেশের কোটিপতিরা। অর্থাৎ ধনীরাই ধনী হচ্ছেন। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল পাঁচজন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতিদের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট দাঁড়ায় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬টিতে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি। দেশের ব্যাংকগুলোতে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ। এসব অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ অর্থ জমা আছে, তার অর্ধেকের মালিক ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮ জন অ্যাকাউন্টধারী। সে হিসাবে ব্যাংক খাতের আমানতের প্রায় অর্ধেকের মালিকই কোটিপতিরাই।

এদিকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে আয়বৈষম্য আরো বেড়েছে। ধনীদের আয় আরো বেড়েছে। যেমন দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ৫২ বছরে ধনীদের আয় অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ধনী ও গরিবের আয়বৈষম্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর চূড়ান্ত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত এক যুগে দেশে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি যেমন বেড়েছে, সঙ্গে দ্রুতগতিতে বৈষম্যও বেড়েছে। বৈষম্যের নির্দেশক সূচক এখন দশমিক ৪৯৯ পয়েন্ট। দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই উচ্চবৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চবৈষম্যের দেশ থেকে অতি সামান্য দূরত্বে আছে বাংলাদেশ। দেশে একজন গরিবের তুলনায় একজন ধনীর আয় অন্তত ১১৯ গুণ বেশি। অর্থাৎ একজন গরিব ১ টাকা আয় করলে একজন ধনী আয় করেন ১১৯ টাকা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের আয় বেড়েছে। সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। তবে ধনী-গরিবের বৈষম্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্বস্তি ও অসমতার সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মনে করেন।

এখন সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দেশকে সোনার বাংলা তৈরি করার। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার রাজনীতি করে নাই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য।’ আরেক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদের সঙ্গে কোনো দিন এক হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশ সেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।’ এসব বিষয়কে বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মহতী প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন- এ প্রত্যাশা থাকল।

লেখক : সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close