আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮

সিরিয়ায় ইসরায়েলের চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘ভূপাতিত’

সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের চারটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার কিসওয়া শহরের বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালালে তা প্রতিহত করা হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটিই জানায় আরআইএ।

সিরিয়ার বিমান বাহিনী প্রতিপক্ষের ছোড়া বেশ কয়েকটি বস্তু গুলি করে নামিয়েছে বলে পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমও জানায়।

সিরীয় নিরাপত্তা সূত্র প্রথমে ওই ঘটনায় ইসরায়েলের একটি বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর দিলেও পরে তা তুলে নেয়, জানিয়েছে আরআইএ। তেল আবিবও বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে বলে জানায় রয়টার্স।

‘এটা (খবর) ভিত্তিহীন’ বলেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র।

কিসওয়ার ইরান সমর্থিত বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েল ওই হামলা চালিয়েছিল বলে আসাদবিরোধী অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে।

ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহরা সিরিয়ায় কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল শুরু থেকেই সিরিয়ায় তেহরান ও হিজবুল্লাহর এ উপস্থিতি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় এ হামলা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য প্রায়ই লেবানন, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আড়াল করে থাকে।

কিসওয়ার যে এলাকায় সিরীয় বাহিনী তেল আবিবের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করছে সেখানে হিজবুল্লাহর যোগাযোগ ও সরবরাহ কেন্দ্র আছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গোলান সীমান্তবর্তী এ এলাকায় হিজবুল্লাহ নতুন সদস্যদের রিক্রুটিং ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

দুই মাস আগে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ও পাল্টা প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার একটি নজরদারি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটিই আসাদ বাহিনী ও তার সমর্থকদের দিকে তেল আবিবের বড় আক্রমণ ।

সেবার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মস্কো ইসরায়েলকেই দায় দিয়েছিল। ওই ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close