আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মস্তিষ্কই রুটিন কাজকে অভ্যাসে পরিণত করে
মানুষ অভ্যাসের দাস। কিন্তু অভ্যাস ব্যাপারটা না থাকলে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়ত। মস্তিষ্কের পক্ষে সব কাজ সামলানো অনেক কঠিন হয়ে উঠতো। রুটিন কাজগুলো করতে মানুষকে হিমশিম খেতে হতো। প্রতিদিন সকালে একই রুটিন মেনে কাজ করি আমরা। পোশাক পরার সময় ভাবি না, কোনটা আগে কোনটা পরে গায়ে দিচ্ছি। পেস্টের টিউবে কতটা চাপ দিচ্ছি, সেটাও খেয়াল থাকে না। সবই অভ্যাসের ফল। সেই অভ্যাসের বশেই আমরা বিনা সমস্যায় একাধিক কাজ একসঙ্গে করে থাকি। একই ধরনের রুটিনের কল্যাণে আমরা প্রতিদিন ঠিক সময়ে বাড়ি থেকে বার হতে পারি। কিন্তু এমন অভ্যাস না থাকলে আমাদের কী হতো? জীবনটা তখন আরো অনেক কঠিন হয়ে পড়ত। কারণ তখন প্রতিটি পদক্ষেপের সময়ে ভুল এড়াতে মনোযোগ দিয়ে ভাবতে হতো।
একই সঙ্গে একাধিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। অভ্যাসের অভাবে সব কাজ নতুন করে করতে অনেক বেশি সময় লাগত।
কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক দৈনন্দিন রুটিন কাজগুলোকে অভ্যাসে পরিণত করে। আমরা সফলভাবে যেসব কাজ করি, মস্তিষ্ক তা মনে রাখে। তারপর কাজের তারিফ করে সংকেত পাঠিয়ে আমাদের বাহবা দেয়।
প্রথমবার কোনো মুভমেন্ট বা সঞ্চালনের সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়। মস্তিষ্কের সামনের অংশ, অর্থাৎ সচেতনতার অংশে তা ঘটে। কিন্তু একই কাজ বেশ কয়েকবার করলে তার নিয়ন্ত্রণ মস্তিষ্কের গভীর অংশ, অর্থাৎ অবচেতনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মস্তিষ্ক বেশ চাতুর্যের সঙ্গে কাজটা করে। এভাবে অনেক নতুন ও জরুরি বিষয়ের জন্য মস্তিষ্কে নতুন ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। তাকে অনেক তথ্য ছেঁকে নিতে হয়, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং শরীরকে চালনা করতে হয়।
অভ্যাস না থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক তার কর্মক্ষমতার সীমায় পৌঁছে যেত। নিয়মিত রুটিনমাফিক কাজগুলো অবচেতন মনে চলে বলেই আমরা দৈনন্দিন জীবন সামলে নিতে পারি।
ফলে আমাদের আর সবসময়ে মৌলিক আচরণ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হয় না। তখন জরুরি বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারি। একইসঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
"