নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ অক্টোবর, ২০২৪

প্রাকৃতিক সম্পদ ঠিকভাবে ব্যবহার করলে দেশ গরিব থাকবে না

- প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশের প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হবে। দেশ আর গরিব থাকবে না।

গতকাল সোমবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউএসএআইডির ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজ-আউট ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

উপদেষ্টা বলেছেন, ইকোফিশ-২ প্রকল্পে কাজের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যরা, বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা দেশ গঠনে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা প্রশংসার যোগ্য। বিজ্ঞানীদের সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে, তাদের দিতে হবে মর্যাদা।

তিনি আরও বলেছেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা তা বাড়াতে চাই। ইকোফিশ-২ প্রকল্পে নারীর সম্পৃক্ততা বেশ উল্লেখযোগ্য, এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে তাদের ক্ষমতায়ন বাড়বে।

ইলিশ মাছকে বড় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, মা ইলিশ রক্ষার সঙ্গে জড়িত জেলেদেরও রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা যেন কষ্ট না পান সেজন্য সরকার আরো সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ‘ইকোফিশ-২’ প্রকল্পকে আরো কাজ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সমুদ্র ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করছে ইউএসএআইডির ইকোফিশ-২। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র ও উপকূলের পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকল্পটি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। নদ-নদীতে ইলিশের পাশাপাশি অন্য জলজ প্রাণী রক্ষায় সাগরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে থাকে। আর একাজে ইকোফিশ-২ মৎস্য অধিদপ্তর,বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক রিড জে. অ্যাশলিম্যান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, ওয়ার্ল্ডফিশের (প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ড. এ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং, ইকো ফিস প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন, ইকোফিস-২ প্রকল্পের ফোকাল পারসন মিস সালমা আক্তার। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ল্ডফিশ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটির নেতা এবং বেনিফিশিয়ারিরাও উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close