প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ মে, ২০২৪

ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল বিশ্ব

তাপমাত্রা রেকর্ডের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল দেখল বিশ্ব। একইসঙ্গে মাসটি টানা উষ্ণতম ১১তম মাস। শুধু তাই নয়, চলতি ২০২৪ সালের প্রতিটি মাসই আগের যে কোনো বছরের একই মাসের তুলনায় সবচেয়ে উষ্ণতম মাসের রেকর্ড গড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ পরিষেবা ‘কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’ (সি৩এস) গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এবিসি নিউজের।

মাসিক বুলেটিনে সি৩এস বলেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে প্রতিটি মাস আগের যে কোনো বছরের একই মাসের তুলনায় গ্রহের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। তারপর থেকে টানা ১১তম মাস হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিল মাস ছিল উষ্ণতম। সি৩এসের তথ্যমতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার ইতিহাসে চলতি বছরের এপ্রিল গ্রহের যে কোনো এপ্রিল মাসের উষ্ণতার তুলনায় রেকর্ড-ব্রেকিং উষ্ণতম ছিল।

সি৩এসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের এপ্রিলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের বায়ুর গড় তাপমাত্রা ১৫.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৫৯.০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট দেখা গেছে। এ তাপমাত্রা ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা থেকে ১.২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি।

সি৩এস এর তথ্যভান্ডারে থাকা ১৯৪০ সালের অন্য তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে চলতি বছরের এপ্রিল মাসকে প্রাক-শিল্প সময়ের থেকেও সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল বলে ঘোষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বৈশ্বিক এ উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গমনকৃত গ্রিনহাউজ গ্যাসকে দায়ী করেছেন। তাছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোয় জলবায়ুর এল নিনোর প্রভাবেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা অনেকটা বেড়েছে। জলবায়ুর এ ঘটনা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ভূপৃষ্ঠের পানিকে অস্বাভাবিকভাবে উষ্ণ করে তুলেছে।

নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির জলবায়ু বিজ্ঞানী হেইলি ফাউলার বলেন, ২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা বিশ্বনেতারা নির্ধারণ করেছিলেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা বিপজ্জনকভাবে ছাড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ব।

জলবায়ু বিজ্ঞানী হেইলি ফাউলার আরো বলেন, আমার বিশ্বাস ইতিমধ্যেই আমরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার যুদ্ধে হেরে গেছি। এখন আমাদের খুব গুরুত্ব দিয়েই তাপমাত্রাকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আটকাতে হলে যত দ্রুত সম্ভব কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close