নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ এপ্রিল, ২০২৪

সাংবাদিকদের জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই

- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট আরো শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া জনগণ তথ্য চাইলে সেটি দিতে দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক) মিজান রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘প্রশাসনিক অনেক জায়গায় তথ্য চাওয়া হলে তাদের মধ্যে তথ্য দিতে অনীহা দেখা যায়। আর এজন্যই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। তাই আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে যেন তথ্য সরবরাহ করতে পারি সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে তৈরি করছি। এতে আপনাদের দ্রুত তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারব। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তথ্য চাওয়া হলে, তথ্য দিতে হবে। তথ্য দেওয়া ও চাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংকোচ যেন না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যটা জানতে চাই। সেটা পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক। সরকারের ভুলভ্রান্তি থাকলে সমালোচনাও থাকবে। সেটি যেন যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে হয়। তথ্য বিভ্রান্ত করে গুজব রটানো যাবে না। গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে কীভাবে তথ্যের অপব্যবহার রোধ করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি- যাতে আমরা সত্য তথ্য পাই। আমি মনে করি, সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে কাজ করা উচিত। তেমনি অসত্য তথ্যের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছি আমরা। মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে তা জনগণের কাছে যেন তারা প্রকাশ করতে পারে। সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরতে পারে। অনেক সময় তথ্যের অপব্যবহারও হয় এজন্য তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে জবাবদিহিও থাকতে হবে। জবাবদিহি না থাকলে তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে। প্রকৃত তথ্য না থাকলেই অপপ্রচারের সৃষ্টি হয়। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’ সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা উচিত মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা চাচ্ছেন সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আসুক। আমি আপনাদের সেই চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব। যেন একটি ন্যূনতম যোগ্যতা নিয়েই তারা কাজ করতে আসেন। এতে মিসলিডিং হওয়ার সুযোগ থাকে না। আমি সাংবাদিকতা পেশায় হস্তক্ষেপ করছি না। আপনাদের চাওয়াটাকেই সমর্থন জানাচ্ছি।

আরাফাত বলেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্ট্রার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ ৪২৬টি অনলাইন আছে। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব। দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কীভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে। বর্তমান সরকারের ১০০ দিনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী কতোটা সফল? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১০০ দিন খুবই অল্পসময়, বড় রকমের সফলতা দাবি করার জন্য। অনেক কাজ এগিয়েছে, কাজ যখন প্রক্রিয়াধীন থাকে সেটাকে প্রকাশ করা যায় না, ফলটা যখন আসবে, তখন করা যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close