হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০৫ এপ্রিল, ২০২৪

আলু আমদানি বেড়েছে এলো আরো ৬৫০ টন

এখন আলুর ভরা মৌসুম। এ সময়ও বাজারে আলুর দাম বাড়তি। এক কেজি আলু কিনতে একজন ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। গত বছর এ সময় ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। কোনোভাবেই আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলু আমদানির অনুমতির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। দেশের বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আলু আমদানি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে আলু আমদানি অব্যাহত ছিল। গত বুধবার বন্দর দিয়ে এক দিনেই ২৬টি ট্রাকে ৬৭৮ টন আলু আমদানি হয়েছে। আগের দিন বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে ৩৪৮ টন আলু আমদানি হয়েছিল। এ ছাড়া সোমবার বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৫৭ টন আলু আমদানি হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আলু আমদানির অনুমতির মেয়াদ দেওয়া ছিল। পরবর্তী সময়ে যা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। আবারও সেই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আলু আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন। কিন্তু আলু আমদানি করে লোকসান হওয়ায় মাত্র ৪ দিন আমদানি হওয়ার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

ভারত থেকে আলু আমদানি করে বন্দরে যে দামে বিক্রি হচ্ছিল, বাজারে তার চেয়েও কমে বিক্রি হচ্ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে করে আলু আমদানি করে লোকসান গুনতে হওয়ায় আলু আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি আবারও দেশের বাজারে আলুর দাম বাড়লে ও আমদানির মেয়াদ বাড়ানো হলে আলু আমদানি শুরু হয়। বর্তমানে ভারত থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু আমদানি করে সরকারের কেজি প্রতি শুল্ক ৭ থেকে ৮ টাকা যোগ করে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজারে বর্তমানে কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা দরে, যার কারণে এই জাতের আলু আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা। বর্তমানে বন্দর দিয়ে সাদা ডায়মন্ড আলু আমদানি হচ্ছে, যা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দরে এসে দাম পড়ছে ২৮ থেকে ২৯ টাকার মতো। বন্দরে এই জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। এই জাতের আলু আমদানিতে কিছুটা পড়তা থাকায় আমদানিকারকরা আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে আলুর আমদানি খানিকটা বেড়েছে। আর আলু আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় অনেকটা বেড়েছে। এ ছাড়া আলু যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা বন্দর থেকে আলু খালাস করে নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close