নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মুক্তির অপেক্ষায় বিএনপির ১৫ নেতা

চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাচ্ছেন ফখরুল

বিএনপির প্রথম সারির প্রায় শতাধিক নেতা এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। নেতাদের সঙ্গে মুক্তি মিলেছে সহযোগী দলের বিভিন্ন ইউনিটের শত শত নেতাকর্মীর। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এখনো প্রায় ১৫ জন নেতা মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। এছাড়া বিভিন্ন নাশকতার মামলায় সাজা প্রাপ্ত বড় একটি অংশ জামিনে বের হয়ে আসতে আরো দু-এক মাস সময় লাগতে পারে। গত বৃহস্পতিবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি। তাদের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিও। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গতকাল দিনভর নিজ বাসায় অবস্থান করেন বিএনপির মহাসচিব। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল একজন নেতা। ঠিক কবে নাগাদ দেশের বাইরে যাবেন, তার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে দেশে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এছাড়া তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। এবারও তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ অনেক নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এখনো স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনসহ অন্তত ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা কারাগারে রয়েছেন।

২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিন সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে দশটি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পান।

বিএনপির দাবি, গত বছরের ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের পর মহাসচিবসহ দুই স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও অন্তত ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনের পর থেকে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত বিএনপি হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close