একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবীর জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার নাম ‘ড. নূরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা’ (অ্যা ফ্রিডম ফাইটার ফরএভার)। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. নূরুন নবী, প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা নাদিম ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।

প্রিমিয়ার শোয়ে ড. নূরুন নবী বলেন, প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর। এখানে নতুন জেনারেশনের অনেকের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। নির্মাতা বলেন, আমি প্রথম যখন ওনার সাক্ষাৎকার নিই, সেটা ছিল দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার। কিন্তু সময় স্বল্পতায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বাদ দিয়েই ফিল্মটি নির্মাণ করতে হয়েছে। আজকে প্রিমিয়ার শোয়ে দর্শকরা পুরো সময়জুড়ে যেভাবে প্রামাণ্যচিত্রটি উপভোগ করলেন, সত্যিই নিজের মধ্যে ভালোলাগা কাজ করছে। তবে আমি মনে করি, সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের সহযোগিতা ছাড়া এ কাজ করা এতটা সহজ হতো না।

এদিকে ড. নূরুন নবীর লেখা সাড়াজাগানো বই ‘বুলেটস অব সেভেন্টি ওয়ান অ্যা ফ্রিম ফাইটার্স স্টোরি’ অবলম্বনে এ ডকুমেন্টারির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। নাদিম ইকবাল নির্মিত ‘অ্যা ফ্রিডম ফাইটার ফরএভার’র চিত্রধারণ করেছেন তিনি নিজেই। ডকুমেন্টারির শুটিং হয় ভুয়াপুর ও বাহদুরাবাদ আসামের গৌহাটি, মেঘালয়ের তুরা ট্রেনিং ক্যাম্পসহ ড. নূরুন নবীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, টাঙ্গাইলে একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত এলাকায়। ভারতের ২৮ সেনা কর্মকর্তা, যাদের সঙ্গে একাত্তরে যোগাযোগ ও বৈঠক হয় ড. নূরুন নবীর, তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া করা হয় নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য শহরে।

ডকুমেন্টারিতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ফুটেজও ব্যবহৃত হয়েছে। সেইসঙ্গে ড. নূরুন নবীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যারা জানেন, এমন বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার ও মন্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন, শাহরিয়ার কবির, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কবি আসাদ চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, ‘সাপ্তাহিক বাঙালি’র সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও আবৃত্তিকার লুৎফুন নাহার লতা প্রমুখ।

"