নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিলেটের উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক

- স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। সিলেটকে একটি স্মার্ট ও আধুনিক শহরে পরিণত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

গতকাল শনিবার নগরীর দক্ষিণ সুরমার একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) উদ্যোগে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সিলেটে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মাঝে স্বাধীনতাবিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসায় উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেগুলো শুরু করেছে, যার উপকার এদেশের মানুষ ভোগ করছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের জন্য একজন সঠিক নেতা খুঁজে এনেছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব। এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ। সিলেটের মানুষ মেয়র হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নির্বাচিত করায় সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তার কাজ করার মানসিকতা রয়েছে। তিনি কাজ করতে পারবেন। সরকার সিলেটের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

সিলেটে দিনের শুরুতেই মন্ত্রী সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন। ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যেকোনো দলের কর্মসূচিকে স্বাগত জানালেও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম দমন করা হবে। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল যদি ধ্বংসাত্মক ও গণবিরোধী কোনো কার্যক্রম করে, তাহলে সরকার সংবিধান অনুযায়ী কঠোরভাবে তা দমন করবে। পরে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করেন।

এছাড়া স্থানীয় সরকারমন্ত্রী নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এমআরএফ প্লান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন, আরবান রেজিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এছাড়া তিনি সিসিকের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনাবিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এ সময় তাকে স্বাগত জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close