আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সকালটা শিশুদের, বিকেলটা সবার

মেলার ১৭তম দিন

অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিন কেটেছে গতকাল শনিবার। ছুটির দিন হওয়ায় শিশুপ্রহর হিসেবে এদিন সকালটা ছিল শিশু-কিশোরদের দখলে। শিশুচত্বরে আনন্দ-উল্লাস আর দুরন্তপনায় মেতে উঠে কচি-কাঁচারা। তাদের উপস্থিতিতে সকালে যেমন মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ, তেমনি বিকেলে জমজমাট হয়ে ওঠে বিভিন্ন বয়সের পাঠক, প্রকাশক, লেখকদের ভিড়ে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোয় বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে অনেকেই উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে এ মেলায়।

বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলার শিশুচত্বরে শিশুপ্রহরে সিসিমপুরে এসে হালুম, ইকরি, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে দুরন্তপনা আর নাচানাচিতে মেতে উঠে শিশুরা। এরপর প্রিয় কার্টুন, কমিকস, রূপকথার গল্প, ভূতের বইসহ পছন্দের বইগুলো কিনেই বাড়ি ফিরে খুদে পাঠকরা।

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় আসা খুদে পাঠক সাদিয়া ইসলাম সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ক্লাসের বই পড়তে পড়তে বোরিং হয়ে গেছি, তাই আব্বু-আম্মকে নিয়ে মেলায় এসেছি মজার কিছু বই কিনতে। ‘আম আঁটির ভেঁপু’, ‘গোপাল ভাঁড়ের শতগল্প’, বড় মামার বাঘ শিকার বইগুলো কিনেছি।

ছোট দুই সন্তান শ্রাবণী ও রাকিবকে নিয়ে মেলায় আসা চাকরিজীবী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, শিশুদের কেবল পাঠ্য বই পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না, তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কেও জানতে হবে এবং শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাও করতে হবে। এজন্য বাচ্চাদের মেলায় নিয়ে এসেছি।

সকালের প্রহরে ছোট্ট সোনামণিদের কলতানের পর দুপুরে বাড়তে থাকে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভিড়।

সাভার থেকে মেলায় আসেন দুই বান্ধবী নুসরাত ইসলাম ও উম্মে হাসিবা। মেলায় এসে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান তারা। তারা দুজন বলেন, মেলায় এসে খুবই ভালো লাগছে। বই খুব একটা কিনতে পারিনি। অল্প কয়েকটা বই কিনেছি। ক্যাটালগ সংগ্রহ করলাম। আরেকদিন এসে বাকি বইগুলো কিনব।

মেলায় বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, ছুটির দিনে অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় পাঠকের আনাগোনা বেশিই থাকে। আজও এর ব্যতিক্রম নয়। ক্রেতারা আগে থেকেই বইয়ের নাম ও লেখকের নাম নিয়ে আসেন। এখনো অনেকেই ক্যাটালগ সংগ্রহ করছেন।

বিক্রয় প্রতিনিধিরা আরো বলেন, কেউ কেউ একটা বই কিনতে এসে যদি অন্য বই ভালো লাগে, তাহলে সঙ্গে আরো দু-একটি বই কেনেন। সবাই তো বই কিনতে আসে না, অনেকেই ঘুরতে আসে। সবাই যদি বই কিনতেন তাহলে বই বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যেত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close