প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পিএমএল-এন ও পিপিপি ফের বৈঠকে বসছে

জোট সরকার গঠনে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) যোগাযোগ ও সমন্বয় কমিটির মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। প্রথম দফা বৈঠকে আলোচিত প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নের জন্য আরো সময় চেয়েছিল দুই পক্ষ। খবর ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পিপিপি নওয়াজের দলকে সরকার গড়তে ও প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। তবে সাংবিধানিক দায়িত্বে পিএমএল-এন তাদের সমর্থন করবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে জাতীয় পরিষদের স্পিকার পদ নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে তাকে সিনেটে চেয়ারম্যানের পদের প্রার্থী করা হতে পারে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। স্পিকার পদের জন্য বিরোধী দলের নেতা খুরশীদ শাহের নামও শোনা গেছে। তবে পিএমএল-এন স্পিকার পদে সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিকের কথা বলেছে।

পিপিপির তথ্য সচিব ফয়সাল করিম কুন্দি বলেছেন, পিপিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা বললেও পিটিআই কোনো যোগাযোগ করেনি। তিনি আরো বলেন, কোনো পরামর্শ থাকলে পিটিআই ছয় সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটির কাছে উত্থাপন করবে। এসব পরামর্শ বিবেচনার জন্য শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের কাছে যাবে।

পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে জারদারি হাউসে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়। ওই বৈঠকে কামার জামান কায়রা, সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ, সাইদ ঘানি ও অন্য নেতারা অংশ নেন।

এদিকে পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনী এলাকা পিপি-৮৯ ভাক্করের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির মুহাম্মদ খান পিপিপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অধিকাংশ আসনে জিতলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট সরকার গঠনের জন্য পিপিপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইমরান খান তার অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন।

নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন : পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন বাতিল চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন আলী খান নামের এক নাগরিক। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।

প্রধান বিচারপতি কাজী ফাইজ ঈসার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই শুনানিতে অংশ নেবেন। এতে প্রধান বিচারপতি ঈসা ছাড়াও আরো রয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুসারাত হিলালী। নির্বাচন বাতিলের আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে।

আলী খান নামের ওই ব্যক্তি ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাতিল করাসহ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া নতুন নির্বাচন বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে করার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। যেন নির্বাচনের ‘সততা, স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা’ নিশ্চিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close