নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হালুম-ইকরি দেখে শিশুদের উচ্ছ্বাস

মেলার ১৬তম দিন

অমর একুশে বইমেলার গতকাল শুক্রবার ছিল ১৬তম দিন। এদিন শিশুপ্রহর থাকায় বেলা ১১টায় খুলে দেওয়া হয় মেলার দ্বার। শিশুপ্রহর চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শিশুপ্রহরের অন্যতম আকর্ষণ ‘সিসিমপুর’। টিভি পর্দার জনপ্রিয় সব চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকুকে সামনে দেখে চোখ ছানাবড়া ক্ষুদে পাঠকদের। বইমেলার মাধ্যমে সন্তানের বই পড়ার সঙ্গে যোগসূত্র ঘটায় উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও।

ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে ছোট-বড় সব বয়সি শিশু-কিশোরের পদচারণায়। বাবা-মায়ের হাত ধরে পছন্দের বই কিনতে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে বেড়ায় ছোট্ট সোনামনিরা। শিশুপ্রহরের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকুর পরিবেশনা। শিশু চত্বর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে নানা বয়সি শিশুরা।

মেলায় এসে শিশু চত্বরে প্রথম বর্ণমালার সঙ্গে পরিচিত হয় অনেক শিশু। অ আ ক খ দেখে তারা বর্ণ চেনার চেষ্টার করে। কেউ আবার আধো আধো কণ্ঠে অ-আ পড়ে প্রমাণ দেয় নিজের পারদর্শিতার। অনেক অভিভাবক সন্তানের হাতেখড়ির কাজটিও সেরে নিচ্ছেন নিজেদের মতো করে। সন্তান ও অভিভাবকের জন্য এ যেন এক বাড়তি পাওনা, বাড়তি আনন্দ।

অভিভাবকরা জানান, শিশুদের বায়না মেটাতে কয়েক দিন অপেক্ষার পর ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় এসেছেন তারা। রামপুরা থেকে বাবার হাত ধরে মেলায় এসেছে ৬ বছরের ফাতিহা। শিশুপ্রহরে হালুম-ইকরি দেখে সে যে ভীষণ খুশি, এর ঝিলিক ফুটে ওঠেছে তার চোখে-মুখে। ফাতিহা বলেন, আমি চারটি বই কিনেছি। মেলায় ঘুরব, অনেক মজা করব। তারপর বাসায় যাব। ফাতিহার মতো অনেক শিশুই গতকাল ছুটির দিনে মেলায় এসেছে মা-বাবার সঙ্গে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা মাঝামাঝি সময়ে পাঠক-দর্শকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন বয়সের পাঠক এসেছেন তাদের পছন্দের বই কিনতে। কেউ বই কিনছেন, কেউবা সেলফি তুলছেন। অনেক যুগল এসেছেন প্রিয়জনকে বই উপহার দিতে। অনেকে খুঁজেছেন পছন্দের লেখকের বই।

এদিকে সকাল ১০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়, ‘স্মরণ : ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হারিসুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close