নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

এমআরআই মেশিন বিকল ৩ বছর

চরম দুর্ভোগে রোগী * বাইরে এমআরআই করায় যাচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ * ভর্তি রোগী নিয়ে বাইরে যেতেও ভোগান্তি

হাসপাতালের বিছানায় অচেতন পড়ে রয়েছেন বাবা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের ধারণা তিনি স্ট্রোক করেছেন। তবে নিশ্চিত হতে লাগবে এমআরআই পরীক্ষা। তারপরই শুরু হবে চিকিৎসা। এ নিয়ে দুই ভাইকে নিয়ে ছোটাছুটি করেন সেলিম মিয়া। কিন্তু জানা গেল হাসপাতালে নেই এ পরীক্ষার ব্যবস্থা। তাই এমআরআই করতে যেতে হবে বাইরে কোথাও তবে সেই অবস্থায় নেই তাদের বাবা।

ছেলেরা জানান, পাশের এক হাসপাতালে যাই। সেখানে এমআরআই আজকে হবে না, কালকে হবে এমন কথা জানিয়েছে। দুদিন ধরে বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ অবস্থায় অন্য জায়গায় যাওয়া ছাড়াও উপায় নেই। এই অবস্থা রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কেবল ভর্তি রোগীই নয়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে আসা অনেক রোগীও দ্বিগুণ টাকায় বাইরে থেকে এমআরআই করতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং) মেশিন বিকল পড়ে আছে তিন বছর ধরে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বাইরে গিয়ে এমআরআই করতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ। তবে ভর্তি রোগী নিয়ে বাইরে যেতে বেগ পেতে হয় স্বজনদের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয় বছর চলেই অকেজো হয়ে যায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা দামের এই মেশিন। মেরামতের চেয়ে নতুন কেনাই লাভ। তাই অপেক্ষা করতে হবে পরের অর্থ বছরের বাজেট পর্যন্ত।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এমআরআই রুমে গিয়ে জানা গেল, মেশিনটি বিকল হয়ে তিন বছর অন্ধকার ঘরে পড়ে রয়েছে। এত বড় একটি হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক এমআরআই করতে হয় কিন্তু এরপরও নেই পরীক্ষার ব্যবস্থা। তাই দুর্ভোগের পাশাপাশি ক্ষোভও আছে রোগী আর স্বজনদের।

হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে এমআরআই করাতে বলেছে। কিন্তু এতে ৭ হাজার টাকারও বেশি গুনতে হয়। তাই হাসপাতালেই যেন এ ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট থেকে কেনা হয় এই মেশিন। ২১ সালে হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে তা অকেজো হয়ে যায়। এখন নতুন করে রক্ষণাবেক্ষণে যে অর্থ দরকার তার থেকে অল্প কিছু যুক্ত করলেই মিলবে নতুন মেশিন। তাই নতুন বাজেট হলে হয়তো কেনা হবে নতুন মেশিন। তবে তত দিন পর্যন্ত চলতে হবে এভাবেই।

উচ্চমূল্য হওয়ায় মেশনটি আর মেরামতের দিকে অগ্রসর হইনি। বিপুল বিনিয়োগ। আমরা চেষ্টা করছি আগামী অর্থবছরে এমআরআই মেশিনটি কেনা যায় কিনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close