যশোর প্রতিনিধি

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ

যশোরে তৎপর খাদ্য বিভাগ

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়িয়েছে যশোর খাদ্য বিভাগ। ২১ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে পাঁচটি উপজেলায় ১৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে মনিরামপুরে চারটি, অভয়নগরে একটি, ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় পাঁচটি, বাঘারপাড়ায় তিনটি ও চৌগাছায় দুটি অভিযান পরিচালনা করে এই বিভাগ। এ সময় ৪৩টি রাইস মিলকে নতুন করে লাইসেন্স গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ওইসব রাইস মিল মালিক এতদিন অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

চলতি বছরের শুরু থেকে সারা দেশে চালের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর পেছনে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এরই মধ্যে চালের অবৈধ মজুদ গড়ে তুলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব তৎপরতা রুখতে মাঠে নামে খাদ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলার খাদ্য বিভাগকে মজুদবিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে যশোর খাদ্য বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করে।

যশোর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরে ১০২টি রাইস মিল রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি অটো রাইস মিল। বাকিগুলো হাস্কিং। খাদ্য বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী, একজন খুচরা ব্যবসায়ী ১৫ টন চাল ১৫ দিন পর্যন্ত তার গুদামে রাখতে পারবেন। পাইকারি ব্যবসায়ী ৩০০ টন চাল রাখতে পারবেন ৩০ দিন। আর মিল মালিকরা ৩০ দিন পর্যন্ত ছাঁটাই ক্ষমতার তিনগুণ চাল রাখতে পারবেন। এভাবে রাখলে সেটি মজুদের পর্যায়ে পড়বে না। এর বাইরে যা করবে তা অবৈধভাবে মজুদের পর্যায়ে পড়বে।

জানা গেছে, পাইকারি বিক্রেতা হিসেবে লাইসেন্স পেতে পাঁচ হাজার টাকা ফি জমা দিতে হয়। আমদানিকারকদের ১০ হাজার এবং খুচরা বিক্রেতাদের এক হাজার টাকা ফি দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুণ্ডু বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যশোরে চালের ব্যবসা করা যাবে না। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে লাইসেন্সের আওতায় আসতে হবে। আর লাইসেন্স গ্রহণ করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে খাদ্য বিভাগ। পাশাপাশি কেউ যাতে অবৈধভাবে মজুদ গড়ে তুলতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন কর্মকর্তারা। যেকোনো মূল্যে অবৈধ মজুদ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ।

তিনি জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে যশোরে দুই দফায় ১৪ হাজার ৪৬৭ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রথম দফায় বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ হাজার ২০ টন। এরপর অতিরিক্ত বরাদ্দ আসে চার হাজার ৪৪৭ টন। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১২ হাজার ২৪০ টন চাল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close