আবদুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মৌলভীবাজারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প

বছর বাড়িয়েও কাজ মাত্র ৪২ শতাংশ

২০২০ সালে একনেক সভায় অনুমোদন ৯৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প * বিএসএফের বাধায় এক ইউনিয়নে কাজ হচ্ছে না * বরাদ্দের ২০-২২ শতাংশ টাকা পাওয়ার দাবি পাউবোর

মৌলভীবাজারে মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি গত বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণসহ একটি পয়েন্টে বিএসএফের বাধাসহ নানা জটিলতায় কাজের সময় এক বছর বাড়ানো হয়েছে। আগামী জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪২ শতাংশ। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় জেলায় বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলাকে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালে মনু নদীর দুই তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৯৯৬ কোটি টাকার ওই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন লাভ করে। নানা জরিপ শেষে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে। কাজের মধ্যে রয়েছে বাঁধে মাটি ভরাট, চর কাটিং, বাঁধ চওড়াকরণ, ফ্লাড ওয়াল নির্মাণসহ অন্য কাজ। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে কাজের তেমন অগ্রগতি নেই বলেও জানা যায়।

কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণে ওই প্রকল্পের কাজ যে গতিতে চলছে তা আরো দুই বছরেও শেষ হওয়ার আশা নেই।’

সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ আরো বলেন, আগামী এপ্রিল-মে মাসে নদীর ফ্ল্যাশফ্লাড হলে আগাম বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এ পর্যন্ত ২২৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৫০টি প্যাকেজে ৬৮টি স্থানে ব্লক প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে বিএসএফের বাধায় কাজ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের সভা করেও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে কাজের অগ্রগতি ৪২ শতাংশ। আর প্রকল্পের অর্থ পাওয়া গেছে ২০-২২ শতাংশ বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close