বাসস

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের সম্মাননা

২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের শুভেচ্ছা-সম্মাননা জ্ঞাপন করেছে ‘আমরা একাত্তর’ নেতারা। অনাড়ম্বর অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অগ্রনায়কদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননাপত্র তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। যারা এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সমাধিতে অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এ সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়।

এ উপলক্ষে তৎকালীন পূর্ববাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সহসভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া) কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রউফ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মণি সিংহ ফরহাদ ট্রাস্টের বর্তমান সদস্য সামসুদ্দোহা এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারকে সম্মাননা জানানো হয়।

আমরা একাত্তরের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল সরকার ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নিয়ামত আলী খোকন, মো. এনামুল আজিজ রুমি এবং সংগঠনের সদস্য ইবনুল আজিজ রসি ও আবু সায়েম ভূঁইয়া সবার বাড়ি গিয়ে এ সম্মাননাপত্র দেন।

ছয় দফা সংগ্রামের জননায়ক পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল। সংগ্রামী ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছয় দফাকে অন্তর্ভুক্ত করে ১১ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান গড়ে তোলে। তার ফলে শাসকগোষ্ঠী মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় এবং বঙ্গবন্ধুকে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯-এ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আমরা একাত্তর প্রতি বছর এ দিনটিতে আন্দোলনের অগ্রনায়কদের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close