reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ এপ্রিল, ২০২১

বহুজাতিক সেমিনার সেনাবাহিনীর আয়োজনে

ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে গতকাল রবিবার সেনাবাহিনীর আয়োজনে দেশি-বিদেশি সামরিক এবং বেসামরিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে ‘আর্মি চিফস কনক্লেভ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজিত বহুজাতিক সামরিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’-এর অংশ হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ফিউচার ট্রেন্ড অব গ্লোবাল কনফ্লিক্ট : রোল অব ইউএন পিস কিপারস। আলোচনায় কিনোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে, ভুটান সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অপারেশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দরজি রিনচেন ফোর্স কমান্ডার ইউনাইটেডনেশন স্মালটি ডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডেনিস জিলেনসপোরে এবং ফোর্স কমান্ডার ইউনাইটেড ন্যাশনস মালটি ডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি ড্যানিয়েল।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, অরাষ্ট্রীয় শক্তির উত্থান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রাজনৈতিক সংকট এবং পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত অবস্থানের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশন ক্রমশই চ্যালেঞ্জিং এবং জটিল হয়ে পড়ছে।

বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কমিউনিটি-বেজড ইনফরমেশন শেয়ারিং, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতিসংঘ সনদের পরিমার্জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক অব কাঠামো তৈরির ওপর জোর দেন।

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে তা মোকাবিলায় অংশীদারত্বের ভিত্তিতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, জাতিসংঘের মতবাদের নমনীয়তা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, যথোপযুক্ত লজিস্টিকস সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাজেট বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রয়োগ এবং চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে শান্তিরক্ষার প্রকৃতি রূপান্তরিত হয়েছে। এই নজিরবিহীন বৈশ্বিক মহামারির ফলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থবহ পারস্পরিক সহযোগিতা, নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি অবস্থার উন্নয়ন অতীব প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

সেমিনারে নৌ ও বিমানবাহিনীর এবং বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনৈতিকসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close