রাজশাহী ব্যুরো
সচিবের ভাই পরিচয়ে চাঁদাবাজি
পুঠিয়ার দুই দলিল লিখকের সনদ বাতিল
রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুই দলিল লিখকের সনদ অবশেষে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এরা হচ্ছে ১৬২নং সনদধারী মামুনুর রশিদ ও ১৮০নং সনদধারী বুলবুল আহম্মেদ। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঠিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার সিং মং থোয়াই।
জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, নিবন্ধন আইন অনুযায়ী স্থায়ীভাবে সনদ বাতিল দুজনকে অফিস আঙিনার মধ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
পুঠিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার সিং মং থোয়াই প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমি চারঘাট উপজেলায় কর্মরত থাকলেও এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। মামুনুর রশিদ ও বুলবুল আহম্মেদের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। আদেশ দলিল লিখক ও জনসাধারণকে জানাতে ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ অফিস চত্বরে লাগানো হয়েছে। তবে কী কারণে তাদের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে, সেটি নোটিসে উল্লেখ করা নেই। মূলত এমন আদেশের ক্ষেত্রে একাধিক শক্ত অভিযোগ হয় এবং এ প্রক্রিয়াটি ছয় থেকে আট মাস আগে শুরু হয়ে থাকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুঠিয়া দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন মুকুল বলেন, রাজস্ব ফাঁকি, সচিবের ভাই পরিচয়ে দলিল লিখকদের কাছে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে মামুনুর রশিদ ও বুলবুল আহম্মেদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।
পুঠিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের এক সচিবের ভাই পরিচয়ে মামুন ও তার সহযোগী বুলবুল হুমকি-ধমকি দিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে চাঁদাবাজি করত। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ১৬ এপ্রিল পুঠিয়া দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন মুকুলকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মামুন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মুকুল। এরপর ওইদিন রাতেই প্রভাব খাটিয়ে উজ্জল নামের এক দলিল লিখকের নামে মিথ্যা মামলা করেন মামুন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলিল লিখকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে গত ১৮ এপ্রিল ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এর প্রেক্ষিতে তাদের দুজনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
"