
অবসরে যাচ্ছে মহাকাশযান

মহাকাশে ১৫ বছর কাটানোর পর অবসরে যাচ্ছে নাসার এইম নামের মহাকাশযান। বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে নাসা বলছে, স্পেসক্রাফটটির ব্যাটারির সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে।
এইমের ব্যাটারিতে ত্রুটির বিষয়টি সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে লক্ষ্য করে নাসা। সে সময়ও পৃথিবীতে ‘বিপুল পরিমাণ ডেটা’ পাঠিয়েছে এই মহাকাশযান। তবে সম্প্রতি এর ব্যাটারিতে আরেকটি গোলযোগ দেখা দেয়। নাসা বলছে, এইম প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। রিবুটের প্রত্যাশায় মহাকাশযানটি আরো দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখবে এইম মিশনের দল। তবে নাসার পোস্ট থেকে ইঙ্গিত মিলছে, সংস্থাটি এই বিষয়ে তেমন আশাবাদী নয়।
এইমের পুরো নাম ‘অ্যারোনমি অব দ্য আইস ইন দ্য মেসোস্ফিয়ার’। রাতের আকাশে মেঘ নিয়ে গবেষণার উদ্দেশে ২০০৭ সালে এই মিশন চালু করে নাসা। আর পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলে শত শত বছর ধরে থাকায় মাঝে মাঝে এগুলো জীবাশ্মযুক্ত মেঘ হিসেবেও বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের ৫৯৫ কিলোমিটার ওপরের বিন্দুতে থাকা মহাকাশযানটি বিজ্ঞানীদের কাছে ‘অমূল্য’ হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ৩৭৯টি গবেষণাপত্রে উপস্থিত, যার মধ্যে ২০১৮ সালের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মিথেন নিঃসরণে রাতের উজ্জ্বল মেঘ আরো ঘন ঘন গঠিত হচ্ছে। ওই বিবেচনায়, দুই বছর কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশে শুরু হওয়া মিশনটি তুলনামূলক ভালোই ফল দেখিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
নাসায় দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়া আরেক মহাকাশযানকে অনুসরণ করেছে এইমের এই সমাপ্তি। প্রায় চার দশক পৃথিবীর ওজোন ও বায়ুমণ্ডলীয় পরিমাপ সংগ্রহ করা আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইটের কার্যক্রমও বন্ধ করেছে সংস্থাটি।