reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

চাঁবিপ্রবির ভূমি অধিগ্রহণে আর্থিক লাভের কোন সুযোগ নেই : দীপু মনি

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে আর্থিক লাভের কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে সেখানে মৌজা দরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে জমি দলিল করেছেন কয়েকজন। এ কারসাজিতে জড়িতদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈত্রিক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্য প্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বা আমার পরিবারের এই জায়গা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা এই বিষয়ে এমন তথ্য ছড়িয়ে হয়রানি করে বেড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহককর্মীর জমি থাকতে পারে।

তিনি বলেন, আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কী না তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে যখনই কোনো উন্নয়নকাজে হাত দেওয়া হয় একটি মহল এর প্রবল বিরোধীতা করে থাকে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা হতে পারবে না। উন্নয়ন কাজ ও একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি তদন্ত ও অনুসন্ধানে সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। আমি আশা করবো ওইসব সংস্থা তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য বের করবে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে যারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ওই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।

এ নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন অনেকে। খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারাও এই আলোচনা-সমালোচনায় জড়িয়েছেন।

তাদের দাবি, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পরিবার ও তার ঘনিষ্ঠজনরা সম্পৃক্ত। যদিও জেলা প্রশাসক তার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করেননি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাঁবিপ্রবি,ভূমি অধিগ্রহণ,দীপু মনি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close