নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ অক্টোবর, ২০২১

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া দুঃখজনক : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ফাইল ছবি

একাধিক প্রকল্প নিয়ে টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বার বার সচেতন করার পরও যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেললে জরিমানার আওতায় আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সিটি করপোরেশনকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সিটি করপোরেশনের মেয়র হচ্ছে নগর পিতা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে শুধু জলাবদ্ধতা নয়, যে কোন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বিদ্যমান যে সকল প্রকল্প রয়েছে সেগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে একে অপরকে দোষারোপ না করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টারপ্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনের কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে।

এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলী বা নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টজন যারা আছে তারা ডিজাইন তৈরি করবেন। কিন্তু সেটি বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা অবশ্যই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য যে সকল কর্মী রয়েছে তারা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা ভালোভাবে মনিটরিং করতে হবে। পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে শুধু কাগজে কলমে রাখলে হবে না তাদেরকে মাঠে নামিয়ে কাজ করাতে হবে। আর যারা মনিটরিং করবে তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যদি ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে তাহলে চট্টগ্রাম শহরে কোনো আবর্জনা থাকার কথা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ড্রেন বা খালে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করার পরও যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close