নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ এপ্রিল, ২০১৯

নদী দখল ও দূষণমুক্ত হবে ১০ বছরের মধ্যে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আগামী ১০ বছরের মধ্যে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালুসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীও দখল, দূষণমুক্ত করে নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। এ লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনার খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চার নদীর দূষণরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে গ্রাম-গঞ্জের সকল মানুষের কাছে উন্নয়নের সব সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। তেমনিভাবে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে হবে, নাব্য ফেরাতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি করা হয়েছে, পদাধিকার বলে আমি সেই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে কমিটি একটি খসড়া মাস্টার প্ল্যান করেছে, সেই মাস্টার প্ল্যানের উপর আলোচনা করে আজকে নীতিগতভাবে সেটি অনুমোদন করেছি। একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদিত খসড়া মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে উনি অনেক আন্তরিক, বিষয়টাকে তিনি অনেক গুরুত্ব দেন, সেই হিসেবে এ বিষয়ে তার অনেক তথ্য জানা আছে। যদি কোথাও ইনপুট দেয়া দরকার মনে করেন, সংযোজন করা দরকার মনে করেন, তিনি সেটা করবেন।

কত বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যানটি, এর মধ্যে কী আছে- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘টেমস নদী এক সময় দূষিত হয়ে গিয়েছিল, গার্বেজ ডাম্পিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই টেমস নদী ৫০ থেকে ৫৫ বছর লেগেছে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে। আমরা যে মাস্টার প্ল্যানটি করেছি সেটাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্প মেয়াদী, মধ্যম মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাস্টার প্ল্যানটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০ বছর। প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে। আপনারা দেখেছেন নদী দখল যেগুলো হচ্ছে তা মুক্ত করা হচ্ছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এরপর ওয়াসার নেতৃত্বে স্যানিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের স্যুয়ারেজ লাইন ঠিক করা হবে, যাতে নদীতে কোনো দূষিত পানি না যায়।

সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, পানি সম্পদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নদী দখল,দূষণমুক্ত,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close