reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অবশ্যই আরো বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের মানবসম্পদকে প্রস্তুত করার জন্য অধিক বিনিয়োগ করতে হবে।

আবদুল হামিদ মঙ্গলবার পাঁচ দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে বৈশ্বিক নেতাদের বিনিয়োগ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি গত ২২ অক্টোবর থেকে সেখানে সরকারি সফরে রয়েছেন। তিনি অগ্রাধিকারভিত্তিক বিশেষ ইনসেন্টিভ প্রদানের মাধ্যমে গ্রীণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অধিক বিনিয়োগ করতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদেরকে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশ্বায়নের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, শিল্পবিপ্লব এবং বিজ্ঞান আবিষ্কারে গতি আনতে বছরের পর বছর সময় লেগেছে। বিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে যে যোগাযোগ বেড়েছে, তা পণ্য ও সেবা স্থানান্তরে বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে এর সুফল সকলের কাছে সমভাবে পৌঁছেনি। বিশ্বায়ন থেকে যাতে অধিকসংখ্যক মানুষ সুফল পেতে পারে, এজন্য বিনিয়োগ নীতি সময়োপযোগি করার পরামর্শ দেন তিনি।

আঙ্কটার্ডের ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট-২০১৮ এর উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ২০১৭ সালে বৈশ্বিক এফডিআই ২৩ শতাংশ কমেছে এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহে ২০১৬ সালে এফডিআাই ১০ শতাংশ কমার পর আর পুনরুদ্ধার হয়নি। স্বল্পোন্নত দেশসমূহে গত বছরে এফডিআই ১৭ শতাংশ কমেছিল। গত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এলডিসি থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণের জন্য একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত আবিষ্কারভিত্তিক ব্যবস্থা রেখে আমাদের সহায়তা করার প্রয়োজন। আমাদের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা এবং টিআরআইপি চুক্তির ৬৬.২ ও ৬৭ ধারার ধারার আলোকে বেসরকারি এফডিআই থেকে প্রযুক্তি সহায়তা বৃদ্ধি আবশ্যক।

উন্মুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল হামিদ বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও অনুধাবনযোগ্য কাঠামো গঠনের ওপর জোর দেন। তিনি আরো বলেন, এসব ও অনুরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ এলডিসিতে আরো বেশি এফডিআই প্রবাহ নিশ্চিত করবে, যা ২০৩১ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যাপক সহায়তা দেবে।

প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ও দীর্ঘদিন এখানে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিষয়টি এদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক ক্ষতি করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ সম্প্রীতি ও অগ্রগতি বজায় রাখতে এখনো নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাষ্ট্রপতি,শিক্ষা ও দক্ষতা,উন্নয়ন,বিনিয়োগ,আবদুল হামিদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close