reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্রাশ করার পরও মুখের দুর্গন্ধ না কমলে করণীয়

ফাইল ছবি

মুখে দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। দিনে দুবার ব্রাশ করার পরও দুর্গন্ধ যেন থেকেই যায়। এ অবস্থায় মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কারো সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে গেলে বিব্রত লাগে, হাসতেও পারেন না প্রাণ খুলে। আমাকে নিয়ে কে, কী ভাবছে? এসব চিন্তা করে, সবসময় মনে একটি চাপা ভয় যেন থেকেই যায়।

দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার উপায় : মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ অপরিচ্ছন্নতা। প্রত্যেকের মুখেই প্রচুর জীবাণু রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে এই জীবাণুগুলো থেকেই হতে পারে সংক্রমণ আর তা থেকে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে দিন দুই বেলা ব্রাশ করা আবশ্যক। প্রতিবারের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন দুই মিনিট।

ব্রাশ করার নিয়ম : জীবাণুরোধী টুথপেস্ট বেছে নিন। সকালে ও রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। মৃদু চাপ দিয়ে ব্রাশ করুন। অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ব্রাশ করা উচিত নয়। এ ছাড়া দুপুরে বা অন্যান্য বেলায় খাবার খাওয়ার পর মুখ ভালোভাবে কুলকুচি করে ফেলুন। জীবাণুরোধী মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যাগে একটি মাউথওয়াশের বোতল রাখুন।

দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার পরিষ্কার করতে ডেন্টাল ফ্লসের সাহায্য নিন, দিনে অন্তত একবার দাঁতের ফাঁক থেকে এসব ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। সারা দিনে একবার জিবও পরিষ্কার করে ফেলুন। কিছু কিছু টুথব্রাশের সঙ্গে জিব পরিষ্কার করার বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।

তিন মাসের বেশি কোনো টুথব্রাশই ব্যবহার করবেন না। নকল দাঁত ব্যবহার করলে সেটিও নিয়মমাফিক পরিষ্কার করতে হবে। রাতে খুলে রাখতে হবে। দাঁত বা মাড়ির কোনো সমস্যা থাকলে দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এমনকি কোনো সমস্যা আপনি নিজে বুঝতে না পারলেও বছরে একবার দাঁত পরীক্ষা করিয়ে নিন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে, তাই রোজা কিংবা নির্জলা উপবাসের মতো ধর্মীয় নিয়ম পালনের সময় মুখের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে।

খাবার সচেতনতা : পেঁয়াজ, রসুন এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার বা পানীয়র কারণে মুখে গন্ধ হতে পারে। এসব কম খাওয়াই ভালো। পানি পান করুন পর্যাপ্ত। মুখ শুষ্ক হতে দেবেন না। কফি, কোমল পানীয় এবং অ্যালকোহল কিন্তু মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। শুষ্কতা এড়াতে চুইংগাম কাজে দেবে। তবে চিনিহীন চুইংগাম বেছে নেওয়া ভালো। ধূমপানের ফলে মুখ থেকে ভীষণ গন্ধ ছড়ায়। ধূমপানের পর লজেন্স বা চুইংগাম খেয়ে এ ধরনের গন্ধ দূর করার প্রয়াসও কিন্তু খুব একটা কার্যকর হয় না। কিছু রোগ এবং কিছু ওষুধের কারণেও মুখ থেকে গন্ধ আসতে পারে। ফুসফুস বা শ্বাসনালির সংক্রমণ এসব রোগের মধ্যে অন্যতম। মুখের দুর্গন্ধ কোনোভাবেই না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মুখ,দুর্গন্ধ,ব্রাশ,পেঁয়াজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close