reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আসল পশমিনা শাল চেনার উপায়

ছবি : সংগৃহীত

১৮ শতকের দিকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পশমিনা শাল। পশমিনা শব্দটি ফারসি শব্দ পাসমিনা থেকে এসেছে যার অর্থ উল থেকে প্রস্তুত। পশমিনা ভেড়া পাওয়া যায় লাদাখ ও হিমালয়ের জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশে৷ এই ভেড়ার পশম থেকেই তৈরি হয় বিখ্যাত কাশ্মিরি পশমিনা শাল৷ হাতে তৈরি নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন এই শাল। সাধারণত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এবং রাজকীয়রা এই শাল ব্যবহার করতেন। পশমিনা ভেড়ার লোম ছেঁটে কাশ্মিরের শাল শিল্পীরা দীর্ঘ পরিশ্রমে একটি শাল তৈরি করেন৷ তবে আজকাল মেশিনে তৈরি শালকে পশমিনা শাল বলে বিক্রি করছে অনেক বিক্রেতা। জেনে নিন আসল পশমিনা শাল চেনার ৬ উপায় সম্পর্কে।

আসল পশমিনা শাল মোলায়েম হয়। এই উল অত্যন্ত সূক্ষ্ম হয় যা শুধুমাত্র হাতেই বোনা যায়। ফলে খাঁটি পশমিনা শালের বুনন মেশিনে তৈরি শালের মতো নিখুঁত হয় না। কিছুটা অসমান হয় এই শালের বুনন।

শালের নিচের অংশ থেকে একটি সুতা ছিঁড়ে আগুনে পোড়ান। যদি চুল পোড়া ধরনের গন্ধ বের হয়, তবে সেটি আসল পশমিনা শাল। আর যদি সাদা ভিনেগার বা পোড়া পাতার মতো গন্ধ বের হয়, তবে এটি ভিসকস বা পলিস্টারের তৈরি।

আসল পশমিনা শাল চকচকে হয় না দেখতে। সিল্ক বা নাইলন মিশিয়ে নিলে দেখতে চকচকে হতে পারে এই শাল। খাঁটি পশমিনা পুরোটাই প্রাকৃতিক ফাইবারে তৈরি। শালটি সূর্য বা আলোর নীচে নিন এবং দেখুন চকচক করছে কিনা।

শালে যদি ট্যাগ বা লেবেল আঠা দিয়ে লাগানো থাকে, তবে সেটি আসল পশমিনা শাল নয়। আসল পশমিনা শালে আঠা লেগে থাকবে না, ট্যাগ বা লেবেল আটকানোর জন্য সেলাইয়ের প্রয়োজন হবে।

চাদর উল্টে দেখুন। যদি নিচের অংশ পরিষ্কার হয় তবে বুঝবেন এটি আসল পশমিনা শাল নয়। মেশিনে তৈরি শালের নিচের অংশ পরিপাটি থাকে।

কেনার সময় শালের কোণা হাতে ঘষুন। যদি লোম দাঁড়িয়ে যায় তবে বুঝবেন এটি আসল পশমিনা শাল নয়। কারণ নাইলন এবং সিন্থেটিক পণ্য স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, প্রাকৃতিক উল করে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পশমিনা শাল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close