গাজীপুর প্রতিনিধি

  ০৩ মে, ২০২০

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস চালুসহ নানা নির্দেশনা

লকডাউন চলাকালীন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রায় ২ হাজর ২৬০টি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

রোববার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ফয়জুল করিম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সব কলেজকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ লকডাউন চলাকালীন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অধিভুক্ত প্রায় ২২৬০টি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন।

নির্দেশনাগুলো হলো—যেসব কলেজের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে, তারা জরুরি ভিত্তিতে অনলাইন ক্লাস চালু করবে। যেসব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনলাইন ক্লাস সুবিধা নেই, তাদেরকেও দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আসতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা মোবাইল অ্যাপস কিংবা জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজ/প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস শুরু করে দিয়েছে।

করোনা ছড়িয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে কোনো সেশনজট ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে লকডাউন শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নিমিত্তে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা যেন একের পর এক পরীক্ষা নিতে পারি তার সকল প্রস্তুতি কলেজ ও শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সেশনজট নিরসনে আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে সফল হয়েছি। সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।

কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সিংহভাগ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে তার নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করতে হয়। এই মহামারি চলাকালীন শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ও দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং নিজ নিজ বাড়িতে বসে তার কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠগ্রহণ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অনলাইন কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। ছুটি দীর্ঘায়িত হলে নতুন করে সেশনজটে না পড়তে পরীক্ষা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অনলাইন ক্লাস,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,করোনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close