মো. বুলবুল আলম

  ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রবাসে নারীশ্রমিক নিরাপত্তা ও সম্ভাবনা

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উদয়াস্ত খেটেও নারীর নিজ গৃহকর্মের কোনো অর্থনৈতিক মূল্য নেই। জানা যায়, দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ নারী খাতা-কলমের হিসাবে কোনো কাজ করেন না অর্থাৎ চাকরি করেন না। নারীর অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে গৃহস্থালির বেতনহীন কাজকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর-২০১৬ সালের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ (বিবিএস) ১৭ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, দেশে ৩৪ লাখ নারী বেকার। স্থায়ী কাজহীন কর্মক্ষম সোয়া ২১ লাখ নারীর বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ৫ লাখ ৩৯ হাজার নারী খন্ডকালীন কাজ করেন।

২০১৮ সালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কেয়ার ওয়ার্ক অ্যান্ড কেয়ার জবস ফর দ্য ফিউচার ডিসেন্ট ওয়ার্ক শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারীরা পুরুষের তুলনায় চার গুণেরও বেশি সময় গৃহস্থালি ও বেতনহীন কাজে ব্যয় করেন। বাংলাদেশে কর্মজীবী নয় এমন নারী দিনে ৬ দশমিক ২ ঘণ্টা এবং পুরুষ ১ থেকে ২ ঘণ্টা এ ধরনের কাজ করেন। কর্মক্ষম নারীরা জানান, গৃহস্থালির কাজের চাপে ঘরের বাইরে কোনো চাকরি করার সুযোগ পান না তারা।

জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নারীর অবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য। গত ছয় বছরে বাংলাদেশে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি ব্যুরোর জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে সাড়ে ৫ কোটি শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। এরমধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় পৌনে ২ কোটি। সরকারিভাবে বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপিতে) নারীর অবদান ২০ শতাংশ। নারীরা যে গৃহস্থালি কাজ করেন তার অর্থমূল্য আনুমানিক আড়াই লাখ কোটি টাকা। সে হিসাবে জিডিপিতে নারীর প্রকৃত অবদান হবে আরো অনেক বেশি। বাংলাদেশের নারীরা এখন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও স্বপ্নময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিদেশে চাকরি করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, গত ১০ বছরে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী শ্রমিকও বিভিন্ন পেশায় চাকরি নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ১ কোটির কাছাকাছি বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী শ্রমিক কাজ করছেন। দালালদের দৌরাত্ম্য শ্রমিক গ্রহণকারী দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা ও রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে সম্প্রতি বিদেশে শ্রমিক প্রেরণে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এ অবস্থার মধ্যেও পুরুষের তুলনায় নারীদের বিদেশে গমনের হার অনেক বেড়েছে। জনশক্তি রফতানি ব্যুরোর জরিপে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ৫৬ হাজার ৪০০ জন নারী কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে গেছেন আর ২০১৪ সালে গেছেন ৭৬ হাজার ৭ জন। গত ৬ বছরে নারীদের বিদেশে গমনের হার ছয় গুণ বেড়েছে। মাত্র ২০ হাজার টাকায় নারীরা এখন বিদেশে যেতে পারছেন। সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার খরচ কম হওয়ায় নারী শ্রমিকরা উৎসাহী হচ্ছেন।

বিদেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়েই তারা স্বপ্ন পূরণে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। সরকারি হিসাবমতে, এ পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নারীকর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৬২ হাজার; যা পাঁচ বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সৌদি আরবে, আরব আমিরাত ও জর্ডানে ১ লাখ ২৫ হাজার করে, লেবাননে ১ লাখ ৩ হাজার এবং ওমানে গেছেন প্রায় ৬২ হাজার কর্মী। তবে হয়রানি, নির্যাতন আর পারিবারিক সমস্যাসহ নানা কারণে এদের একটি বড় অংশ নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে বাধ্য হন। এ ছাড়া আগের তুলনায় বর্তমানে নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার নিয়মাবলি ও সুযোগ-সুবিধার প্রচারণার হার বাড়ার কারণে নারীদের বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। বিদেশে নারী শ্রমিকরা সাধারণত হাউসকিপার, গার্মেন্ট কর্মী, মিডওয়াইফ, ডে কেয়ার কর্মী, নার্স, বেবি সিটার, বিউটিশিয়ান ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। তাই বিদেশে নারীদের কাজের চাহিদা অনুযায়ী ভালো প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে যেমন বেশি বেতন পাওয়া যায়; তেমনি কর্মক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি সহজে মোকাবিলা করা যায়।

অভিবাসন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিক প্রেরণ আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠানোর হারও। শুধু তাই নয়, আয়ের অংশের দিক থেকে পুরুষের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) একাধিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০১৫ : সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক রামরুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন প্রবাসী পুরুষ তার আয়ের মাত্র ৫০ শতাংশ অর্থ দেশে পরিবারের কাছে পাঠান। পক্ষান্তরে একজন নারী প্রবাসী শ্রমিক পাঠান আয়ের ৯০ শতাংশ। অভিবাসন খরচের অনুপাতে রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকেও পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারী শ্রমিকরা।

‘ইমপেক্ট অব মাইগ্রেশন অন পোভার্টি অ্যান্ড লোকাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এসডিসি ও রামরুর আরেক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষ শ্রমিকের অভিবাসনে গড়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। পক্ষান্তরে একজন নারী শ্রমিকের গড় অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ টাকা, যা পুরুষের তুলনায় এক-চতুর্থাংশের কিছু বেশি। এদিকে একজন পুরুষ শ্রমিক মাসে গড়ে ২৩ হাজার ৮৬ টাকা রেমিট্যান্স পাঠান। এটি একজন পুরুষ শ্রমিকের আয়ের ৫০ শতাংশ। পক্ষান্তরে একজন নারী শ্রমিক গড়ে রেসিট্যান্স পাঠান ১৩ হাজার ৫২৭ টাকা, যা তাদের আয়ের ৯০ শতাংশ। পুরুষের অনুপাতে নারী শ্রমিকের অভিবাসন খরচ এক-চতুর্থাংশ হলেও পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমিক রেমিট্যান্স পাঠান অর্ধেকেরও বেশি। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের তুলনায় আয়ের দিক থেকে এগিয়ে নারীরা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৫ জন নারীকর্মী পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে শুধু সৌদি আরবেই গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩১ জন। দেশটির শ্রমবাজার আশির দশক থেকে বাংলাদেশিদের অন্যতম প্রধান কর্মস্থল। মাসিক মাত্র ৮০০ রিয়াল বা ১৬ হাজার টাকা বেতনে ২০১৫ সালে গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হয় বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী নারী গৃহকর্মীর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন নিয়মিত ঘটনা। শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১১ সালে ফিলিপাইনের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের তদন্তে উঠে আসে, সৌদি আরবে প্রবাসী নারীকর্মীদের ওপর নির্যাতন নিত্যদিনের ব্যাপার। ফলে তারা নারীদের পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

২০১৫-১৭—এই তিন বছরে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৯২ জন নারী সৌদি আরব গেছেন। এরমধ্যে ফেরত এসেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন। সৌদি নিয়োগকর্তাদের অধীনে এসব নারীকর্মী নানা হয়রানির শিকার হয়ে সেফহোম ও সফর জেল অথবা ডিপোর্টেশন সেন্টারে আশ্রয় নিচ্ছেন। দেশটির জেদ্দা সেফহোমে এই তিন বছরে আশ্রয় নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১ হাজার ৬৪৮ জন এবং রিয়াদ সেফহোমে আশ্রয় নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১ হাজার ৬৯১ জন। এসব সেফহোমে আশ্রিত বাংলাদেশি নারীকর্মীদের দেখভাল করতে বাংলাদেশ মিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশ্রিত নারী কর্মীদের খাবার সরবরাহ এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৩২৪ জন নারীকর্মী সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন। আরো নারীকর্মী দেশে ফেরার অপেক্ষায় সৌদির সফর জেল ও সেফহোমে অপেক্ষা করছেন।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্যমতে, সৌদি সেফহোমে নিয়মিত গড়ে ২০০ জন থাকেন। জানা গেছে, জর্ডান হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাঠানো অনেক নারী শ্রমিকের খোঁজ পাচ্ছে না তাদের পরিবার। এ অবস্থায় সম্প্রতি জর্ডানে নারী শ্রমিকদের পাঠানো একটি রিক্রুটিং এজেন্সি এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পেরেছে, সংঘবদ্ধচক্র প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে মহিলা গৃহকর্মী পাঠানোর নামে তাদের দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছে। সৌদি আরবে নারী শ্রমিক নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনা, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।

বিদেশগামী পুরুষ ও নারীকর্মীদের জন্য সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। হাউসকিপার বা গৃহকর্মীর কাজে বিদেশে যেতে চাইলে ২১ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশত্যাগ করতে হবে; যা সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক। জনশক্তি ব্যুরোর আওতায় বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য দেশে মোট ৩৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেকোনো পেশায় কাজ নিয়ে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের বিপদের আশঙ্কা অনেক বেশি। তারা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি অরক্ষিত ও অসহায় অবস্থায় থাকেন। ভাগ্য অন্বেষণে দূর দেশে কাজ করতে গিয়ে পাচার কিংবা যৌন নির্যাতনের মতো বিশেষ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার ঝুঁকি কেবল নারীদেরই থাকে। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিদেশগামী এসব নারী অধিকাংশ গ্রামের গরিব মানুষ, এরা কেউ জীবনযাপনের আধুনিক উপকরণ দেখে অভ্যস্ত নয়। তাই সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। যাতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানামুখী কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জনশক্তি রফতানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি যে কয়েকটি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার অন্যতম হচ্ছে, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ১ কোটির বেশি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রেমিট্যান্সপ্রাপ্ত পরিবারগুলো আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা নতুন সম্পদ অর্জন ও স্বাধীনভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে এবং অর্থনৈতিক কর্মে বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে দেশের গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম।

বর্তমানে রেমিট্যান্স আমাদের মোট অভ্যন্তরীণ আয় বা জিডিপির ৩০ ভাগ। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে একদিকে যেমন দেশের অভ্যন্তরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার (রিজার্ভ) সঞ্চায়নও বেড়েছে। এই আয়ে অভিবাসী নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে পুরুষের তুলনায় নারী অভিবাসীদের অবদান বেড়েছে। যাকে শুধু প্রশংসা নয়, যথাযথ মর্যাদায় বিষয়টিকে স্মরণ করা দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

লেখক : বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) কর্মকর্তা সিইডিপি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সম্ভাবনা,নিরাপত্তা,প্রবাসী,নারীশ্রমিক
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close