কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৯

পরীক্ষার হলে ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরীক্ষা চলাকালীন ২০ ছাত্রের চুল কাটার ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার জসীম উদ্দীন শেখকে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।

১৬ অক্টোবর উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসার দাখিল শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন অধ্যক্ষ বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্র জানায়, বাংলা পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেন। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে আসায় দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরে আমরা পরীক্ষা অংশ নিই। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হওয়ার পর হুজুর সবাইকে ডেকে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত নেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জসীম বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে এখনো মাদরাসাটিতে তদন্তে যেতে পারিনি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবো।

অধ্যক্ষ বাকের হোসাইনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি চুল কেটেছি। তবে কাউকে চাপ দিয়ে মুচলেখা নিইনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর বলেন, চুল কাটার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অধ্যক্ষ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কোটালীপাড়া,চুল কাটা,তদন্ত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close