মহসীন শেখ, কক্সবাজার
কুতুপালং ক্যাম্পে সুইস প্রেসিডেন্ট
‘রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে সুইজারল্যান্ড’
সম্মান ও মর্যদার সঙ্গে রোহিঙ্গারা যাতে স্বদেশে ফেরত যেতে পারে সুইজারল্যান্ড এ লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অাঁলা বেরসে।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মহানূভবতা দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন। এ জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
সুইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এতো বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ভরণ-পোষন বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সুইজারল্যান্ড সরকার রোহিঙ্গা সংকটে ত্রাণ সহায়তাসহ নানা তৎপরতার মাধ্যমে আন্তরিকভাবে দেশটির পাশে রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সাহায্য অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন অ্যালেইন বেরসে।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে বলেন, বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তায় সুইস মানবিক সাহায্য সংস্থা ২০১৭ সালে ৮.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। ২০১৮ সালেও সুইজারল্যান্ড ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দেবে এবং মানবিক প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকবে। এর ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় কমিউনিটিও উপকৃত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে তিনি বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এরপর সুইজারল্যান্ড প্রেসিডেন্ট সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্থাপিত রোহিঙ্গা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী ও চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শনে যান।
অন্তত আধা-ঘন্টার বেশি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সুইস রাষ্ট্রপতি অ্যালেইন বেরসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে উখিয়ার উদ্দ্যেশে রওনা দেন।
পরে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি উখিয়া কুতুপালং পৌঁছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সুইস রাষ্ট্রপ্রধান কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের চিকিৎসা কার্যক্রম এবং ডি-৫ ব্লকের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন ছাড়া সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সময় তিনি কথা বলেন রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও।
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার ১০ রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
সুইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন ককর্মকর্তা, আইওএম ও ইউএনএইচসিআর সহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।।
পিডিএসও/রিহাব