নিজস্ব প্রতিবেদক
খেলাপি ঋণের তালিকা সংসদীয় কমিটিতে
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির কাছে পাবে তিন হাজার ২২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
সোনালী ব্যংকের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পেলেও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নাম পায়নি সংসদীয় কমিটি। পরের বৈঠকে প্রতিষ্ঠান মালিকদের নাম দিতে বলেছে তারা। সোনালী ব্যাংকের যেসব শাখা ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছর লোকসান গুনছে সে সব শাখা বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ওই ঋণ আদায়ের জন্য যে ২০ জন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছে তাদের নাম এবং বেসিক ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকার উপরে যে সব প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি আছে তাদের নামের তালিকাসহ পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬২৮টি খেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আছে ছয় হাজার ৫৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি পাওনা আছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ১১ জন। তাদের কাছে পাওনা এক হাজার ২৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটি পর্যন্ত পাওনা এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০টি। এদের কাছে মোট পাওনা দুই হাজার ১০৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসিক ব্যাংক থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ঋণ আদায়ে, ব্যাংকের ঋণের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বিনা ডকুমেন্টে ৫৭টি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এবং ঠিকানাহীন সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখসহ একটি প্রতিবেদন আগামী জানুয়ারির মধ্যে কমিটিতে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। নূর-ই-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, এ বি তাজুল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শাহানারা বেগম, এ টি এম আব্দুল ওয়াহহাব ও ওয়াসিকা আয়শা খান অংশ নেন।
"