বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ১১ জুন, ২০১৯

ঈদের পর রাজশাহীর বাজার

সবজিতে স্বস্তি, ডিম-মাংসে আগুন

ঈদুল ফিতর উদ্্যাপনের পঞ্চম দিন অতিবাহিত হলেও রাজশাহী নগরীর নিত্যপণ্যের বাজারে গতকাল সোমবার ক্রেতাদের চাপ দেখা যায়নি। এদিন ক্রেতাশূন্য বাজারে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম কম থাকলেও চাল, ডিম ও মাংসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারের দু’একটি সবজির দোকানে ক্রেতা দেখা গেলেও মাছ ও মাংসের দোকান ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। সেখানে মাঝে মধ্যে দু’একজন দাম জিজ্ঞাসা করলেও তাদের পণ্য কিনতে দেখা যায়নি। চিত্রটি সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যের। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার জমে উঠতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। আগামী রোববারের মধ্যেই পুরোপুরি বাজার জমে উঠবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

সোমবার বেলা ১১টার পর নগরীর উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষ্মীপুর ও কোর্টবাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। এ সময় ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের পর হঠাৎ করে ডিম ও গরুর মাংসের এমন বেশি দাম একেবারেই অযৌক্তিক। এদিন বাজারে প্রতি হালি মুরগির ডিম (সাদা রঙের) বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা ও বাদামি ৩০ টাকায়। ঈদের আগে প্রতি হালি সাদা ডিমের দাম ছিল ২৪ ও বাদামি ২৬ টাকা। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি করা হয়েছে ৬০০ টাকায়। যেটি ঈদের মধ্যে কোনো কোনো জায়গায় ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও অধিকাংশ দোকানেই ৫৮০ টাকাতে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া এখনো চড়া দামেই সব ধরনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এদিন ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, লাল লেয়ার ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা, প্রতি পিস কক মুরগি ২১০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ছাগি ও খাসির মাংস প্রতি কেজির দাম ছিল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা। তবে সব ধরনের সবজি ক্রয়ে স্বস্তিতে ছিলেন ক্রেতারা। বাজার ও মানভেদে প্রায় সব ধরনের সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এ দিন ভালোমানের প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ২৫-৩০ টাকায়। এদিন প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ২০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৩০, করলা ৮০, পটোল ২০, বরবটি ২৫, কচুরলতি ৩০, কাঁকরোল ৩০, চিচিংগা ২৫, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ২০, পেঁপে ১৫, টমেটো ২৫, শশা ২০ ও লাউ ১৫ টাকা। আর লেবু প্রতি হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close