নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০১৮

নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রিটার্নের তথ্য

জমা দিতে হবে এনবিআরে

আয়কর অধ্যাদেশে ১০৮ (এ) ধারা নামে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের মধ্যে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে তার কর্মীদের আয়কর বিবরণী তথ্য জমা দিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, একই সঙ্গে আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ (এ) ও ১০৮ ধারাও মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৭৫ (এ) ধারা অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠান যত ধরনের উৎসে কর আহরণ করে, তার বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতা থেকে পে-রোল কর হিসেবে যে কর কেটে রাখা হচ্ছে, সেটিও সেখানে থাকবে। এই বিবরণী বছরে একবার দিতে হয়।

জানা যায়, প্রত্যক্ষ কর বা আয় করের তিন শতাংশের মতো আসে পে-রোল কর বাবদ সংগৃহীত হয়ে থাকে। প্রতি মাসে যে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়, এর আনুমানিক হিসাব করে অগ্রিম কর বা উৎসে কর হিসেবে কেটে রাখে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই অর্থ এনবিআরে জমা দেওয়া হয়। ১০৮ ধারা অনুযায়ী, আয়-ব্যয় বিবরণী বছরে একবার জমা দিতেই হবে। সেখানে কোনো কর্মীকে কত বেতন দেওয়া হলো এ সংক্রান্ত বিবরণী থাকে। তবে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য খরচের বিবরণীও থাকে।

এনবিআর সূত্র জানায়, বর্তমানে-দেশে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ ই-টিআইএনধারী রয়েছেন। তবে প্রতি বছর গড়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণী জমা দিয়ে থাকেন। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটিতে উন্নীত করা হবে। এ সময় আয়কর বিবরণী জমা ৮০ লাখে উন্নীত করবেন।

এদিকে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কর জালের আওতায় পাঁচ লাখ ২৬ হাজার নতুন করদাতা সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জন করেছে এনবিআর। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। পাঁচ লাখ ২৬ হাজার নতুন করদাতা সংগ্রহের বিপরীতে উল্লেখিত সময়ে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৯১১ জন করদাতা খুঁজে পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে নতুন করদাতা সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে না বরং এই কার্যক্রম আরো বেগবান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ করজালে যত নতুন করদাতা যুক্ত হবে রাজস্ব আয় তত বাড়বে। নতুন করদাতা শনাক্তকরণে বাইরের জরিপের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জরিপ পরিচালনার নিদের্শনা দিয়ে বিভিন্ন করাঞ্চলে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর। এনবিআর সদস্য ড. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন করদাতা শনাক্তকরণ কার্যক্রম বেগবান করতে বাইরের জরিপের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত আবশ্যক। কেননা বর্তমানে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অসংখ্যা পাকা গৃহসম্পত্তি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক স্পেস এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। তবে এসব গৃহসম্পত্তির উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক করজালের বাইরে রয়ে গেছে। এর মধ্যে একক মালিকানাধীন বিপুল সংখ্যাক গৃহস্পত্তি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ইলেক্ট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) ধারীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬০ হাজার। চলতি করবর্ষে এই সংখ্যা ৩৫ লাখের ওপরে চলে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist