২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় মাথাপিছু আয় চার হাজার মার্কিন ডলার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬২০ ডলার। ১০ বছর আগেও এটা ছিল তিনভাগের একভাগেরও কম। এ সময়ের মধ্যে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।

গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ৫০০ একর জমির বরাদ্দ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিজিএমইএ সভাপতি ২৫ কোটি টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন। সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সদস্য এমদাদুল হক এবং বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১-এ উন্নত দেশের। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দুঃসাহসিক উল্লেখ করে এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, গ্যাস-বিদুৎতের অভাব থাকার পরও গত বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ১০ বছরে বর্তমান সরকারের জিডিপি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তিনি বলেন, দেশের মোট জিডিপি আড়াইশ’ বিলিয়ন ডলার। এর অধিকাংশই বেসরকারি খাতের অবদান। ব্যবসায়ীরা যত সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে, দেশের অগ্রগতি ততই এগিয়ে যাবে। সরকার ব্যবসায়ীবান্ধব। আপনাদের এগিয়ে যেতে সরকার সব কিছুই করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি পোশাক শিল্প স্থাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিজিএমইএ যে কাজটি করতে যাচ্ছে, এটি আরো আগে হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

"