তারুণ্য ডেস্ক
তারুণ্যের যাত্রা পৃথিবী ছাড়িয়ে
আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে, সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-এমনিভাবে কাজী নজরুল ইসলামের কণ্ঠে যে তারুণ্যের জয়গান ফুটে উঠছে তা রুখতে পারে সকল বাধা। ছিনিয়ে আনতে পারে সব জয়। সেই তারুণ্যকে বয়সের মধ্যে বেঁধে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারুণ্য তার পদচিহ্ন একের পর এক এঁকে দিয়ে চলেছে এই পৃথিবীতে দৃপ্ত পদক্ষেপে। যার অর্জন মানুষকে মহাশূন্যে চাঁদের বুকে পৌঁছে দিয়েছে।
তারুণ্যের শক্তি এতই, যা সূর্যের আলোর মতোই প্রখর। একবার যদি নিজের মধ্যে লুকানো এই শক্তিকে আবিষ্কার করা যায় তা পৃথিবীর জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই শক্তি সুপ্ত অবস্থায় আছে। পরিচর্যার মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলতে হবে। আর এই কাজটি করতে সব সময় পজেটিভ থাকতে হবে নিজে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে লেগে থাকতে হবে ভালো লাগার কাজটিতে।
নতুনত্বকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেকোনো কিছুকে ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও অসম্ভব জিনিস উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে তারুণ্যের মাঝে। অপরিচিত পথে চলার কৌশলও আয়ত্ত করা চাই। নতুন আবিষ্কারের নেশা থাকা চাই জয় পেতে। সেই সঙ্গে সমস্যার সমাধান বের করে সফল না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
মেঘে ঢাকা কালো আকাশ থেকেই বৃষ্টির ধারা নেমে আসে। মেঘ কেটে যায় ফুটে সূর্যের আলোয়। বৃষ্টির ছোঁয়ায় মাঠে সবুজের সমারোহ ঘটে। সবুজের দান শস্যদানা মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়। আর এই অবলম্ব^নের গল্পের পেছনে কাজ করে কোটি কোটি হাত।
তারুণ্য লক্ষ কোটি বিফলতার গল্পকে রূপ দিয়েছে সফলতায়। বিদ্যুৎ বাতি আবিষ্কারের পেছনে দশ হাজার বার বিফলতার মালা গেঁথে এসেছিল একটা সফলতা। যা অন্ধকারে আলোকিত করেছে পুরো বিশ্বকে। আর তারই পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে মানুষ দ্বিতীয় কোনো গ্রহে আবাসের পথে চলেছে। সেদিন হয়ত খুব বেশি দূরে নয় যেদিন মঙ্গলে মানুষের দেখা মিলবে।
বসে থাকার দিন শেষ। নিজে কিছু করে দেখানোর সময় এসেছে। তারুণ্যকে লুকিয়ে নয় হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার সময় এসেছে। এমন কিছু একটা করে দেখাও, যা বিশ্ব দেখেনি আগে! তোমার নামটিও রেখে যাও বিজয়ের পথে বিজয়ী হিসেবে। তোমাকেও স্মরণ করবে তোমার আবিষ্কারের সঙ্গে।
"