কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ১০ জুলাই, ২০২০

কমলগঞ্জে ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসের সুযোগ নেই

করোনার মধ্যে অনলাইনেল স্কুল-কলেজের পাঠদান চালু হলেও চা বাগান অধ্যুসিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের প্রায় ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীয় এই সুযোগ নিতে পারেনি। এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ইন্টারনেট, টিভি ও বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। চা বাগানের দরিদ্র শ্রমিকের প্রত্যেকের ঘরে টিভি, ল্যাপটব ও সর্বাধুনিক মুঠোফোন নেই। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা যায়। উপজেলা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় তাদের শিক্ষকরা অন লাইনে বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে যাদের এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মুঠোফোন প্যাকেজ, ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধা আছে, কেবল তারা এ সুযোগটি গ্রহন করতে পারছে। এই উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গ্রাম ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন শমশেরনগর চা বাগানের শ্রমিক সন্তান মোহন রবিদাস। তিনি বলেন, কোবিড-১৯ এর অচলাবস্থায় পাহাড় ও চা বাগান শ্রমিকের সন্তানরা শিক্ষার মূলধারা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অধিকাংশ পাহাড় ও চা বাগানের মানুষের বাড়িতে টেলিভিশন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট তো নেই, এমনকি বিদ্যুৎ সুযোগও নেই। তাই তারা সরকারের ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সুফল পাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। কমলগঞ্জের ৬টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই সংকটের কথা স্বীকার করেন। তারা বলেন, সরকারি নির্দেশনায় অনলাইনে অনেক শিক্ষক পাঠদান করছেন। কিন্তু গ্রামের দরিদ্র ও চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা অনলাইনের সুযোগ নিতে পারছে না। বঞ্চিতের হার শতকরা ৬৫ শতাংশ হবে।

তবে এই শিক্ষকরা জানান, অনলাইনে বাহিরে গিয়ে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের বিশেষ সাজেশন দিয়ে বাড়িতে লেখা পড়ায় ব্যস্ত রাখছেন। আর বাড়িতে লেখাপড়া করার পর তাদের বিশেষ মূল্যায়নী পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ ও সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, গ্রামের ও চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন ও এমবির অভাবে অনলাইনের পাঠের সুযোগ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close