মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

সাটুরিয়ায় আখের বাম্পার ফলনেও কৃষকের দুশ্চিন্তা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার অধিক ফলন হলেও আখের সঠিক মূল্য নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চাষিরা। বাজারে সঠিক মূল্য লাভের আশা তাদের। তবে সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে এ উপজেলায় আখ চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়বে দাবি কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার এ বছর ৪০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আখের ভালো ফলন হয়েছে। বিশেষ করে সদর ইউনিয়ন, ফুকুরহাটি, দড়গ্রাম ও দিঘুলিয়া ইউনিয়নে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনান্য ইউনিয়নেও ফলন হয়েছে আশানুরুপ।

চাষিরা জানায়, বাংলা বছরের কার্র্তিক মাসের শুরুতে জমিতে সারিবদ্ধভাবে আখের চারা রোপন করতে হয়। চারা ছোট থেকে প্রাপ্ত বয়স পর্যন্ত হওয়া পর্যন্ত আখ ক্ষেতে ৩-৪ বার পানি দিয়ে মাটি ভেজাতে হয়। বেশ কয়েকবার জমিতে আগাছা পরিস্কার, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এ সময় প্রচুর খরচ হওয়াতে দিনে দিনে আখ চাষ আগ্রহ কমে যাচ্ছে কৃষকদের।

চাষিরা জানান, এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের বিশেষ করে বাটাম খাঘরী, গ্যান্ডারী, বৌম্বায়, মিস্লি দানা, ধলী, পচাঁদান ও নিজকসহ বিভিন্ন জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাটুরিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আখ চাষী চাঁন মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৯৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং ভালো ফলনও হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাকে। যদি সরকারিভাবে সহযোগীতা পাওয়া যায় তাহলে সামনে আরও বেশি করে আখ চাষ করতে পারবেন।

ধূল্যা গ্রামের আবুল হোসেন জানান, এ বছর আখের বাম্পার ফলন হলেও পাইকাড় না আসায় চিন্তায় রয়েছে তিনি। সংসার চালাতে তাই বাজারে খুচরা অল্প মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ফুকুরহাটি গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, অভাবের কারণে আখ চাষের সময় ধারদেনা করে ৯০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন জাতের আখ চাষ করেছেন তিনি। যদি সরকারিভাবে কম সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়া যেত তাহলে ধারদেনা করতে হতনা। তাই সরকারের কাছে দাবি সরকার যেন এই ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়। এতে কৃষকদের কৃষি কাজে আগ্রহ আরও বাড়বে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, সাটুরিয়া উপজেলায় এ বছর প্রায় ৪০হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। অনান্য বছরের তুলনায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্যমূল্য পেলে চাষিরা বেশ লাভবান হবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close