বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বাউফলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বেহাল
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। নানামুখী সমস্যায় ক্লিনিকগুলোয় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
১৯৯৬ সালে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। তৎকালীন সময়ে ক্লিনিকগুলোয় স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে এলেও ২০০১ সালের পরে তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে বর্তমান সরকারের আমলে ফের কমিনিউটি ক্লিনিকগুলো চালু হয় এবং প্রতিটি ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সমন্বয়ে ওইসব কমিউনিটি ক্লিনিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।
ক্লিনিক-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশই নানা সমস্যায় জর্জরিত। যার কারণে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মধ্যে দাসপাড়া চরআলগী, রাজাপুর, নয়ারহাট, কালাইয়া, বগা রাজনগরসহ বেশির ভাগ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়েছে। ফ্লোর দেবে গেছে। টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। বেশির ভাগ ক্লিনিকেরই টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া অধিকাংশ ক্লিনিকেই নেই কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ। অবকাঠামোগত সমস্যাসহ বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সিএইচসিপিরা তাদের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মাসিক রিটেন রিপোর্ট দিতেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মইনুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
"