আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯

নিউজিল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাতে সম্ভাব্য মৃতের সংখ্যা ১৩

নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট আইল্যান্ডে বিমানে করে অনুসন্ধান চালিয়ে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, নিখোঁজ বাকি আটজনেরও মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ‘আমার জোরালো ধারণা, ওই দ্বীপে আর কেউ বেঁচে নেই,’ বলেন নিউজিল্যান্ড পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জন টিমস।

গত সোমবার জনপ্রিয় ওই আগ্নেয় দ্বীপটিতে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ানোর সময় আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বীপটিতে প্রাণের আর কোনো চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।

দ্বীপের পরিস্থিতি নিরাপদ হওয়ার পর নিহতদের ‘খুঁজে বের করে তাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার’ দিকেই এখন মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের সময় দ্বীপটিতে ৪৭ জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে ২৪ জন অস্ট্রেলিয়ার, ৯ জন যুক্তরাষ্ট্রের, পাঁচজন নিউজিল্যান্ডের, চারজন জার্মানির, দুজন করে চীন ও যুক্তরাজ্যের এবং একজন মালয়েশিয়ার নাগরিক।

এদের মধ্যে ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্তত ২৭ জনের দেহের ৭১ শতাংশেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হতে পারে বলে নিউজিল্যান্ডের প্রধান সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখের শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ সংস্থা জিওনেট এর লাগানো ক্যামেরার ছবিতে বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট আগে লোকজনকে জ্বালামুখের শীর্ষের আশপাশে হাঁটতে দেখা গেছে। এরপরের আরেকটি ছবিতে বিস্ফোরণের চিত্র পাওয়া গেছে। এই বিস্ফোরণে জ্বালামুখ দিয়ে উদগিরিত ছাইয়ের কু-ুলি শূন্যে ১২ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে যায়।

তারপর থেকে ধূসর ছাইয়ে ঢেকে থাকা দ্বীপটিতে উদ্ধারকারীরা আর যেতে পারেনি বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জিএনএস সায়েন্স। আগ্নেয়গিরিটি ‘বাষ্প ও কাদা উদগিরণ’ করতে থাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরেকটি অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার ৫০/৫০ সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে তারা।

অগ্ন্যুৎপাতে হতাহতের ঘটনা নিয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close