আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ধর্মঘটে অচল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ

বেতন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে গতকাল সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছেন যুক্তরাজ্যের বিমান পরিবহন সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পাইলটরা। অভূতপূর্ব এ ধর্মঘটের কারণে প্রায় সব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ; হাজার হাজার যাত্রী তাতে বিপাকে পড়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রথমবারের মতো কঠিন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে গত মাসে কর্তৃপক্ষকে দেওয়া এক নোটিশে সেপ্টেম্বরে তিন দিনের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিল ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (বিএলপিএ)। এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিএলপিএর ধর্মঘটের কারণে আমাদের গ্রাহকদের হতাশা ও বিড়ম্বনা আমরা বুঝতে পারি। বেতন নিয়ে বিবাদ সমাধানে কয়েক মাসের চেষ্টা করার পরেও তার এমন পরিণতিতে আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।

‘দুর্ভাগ্যবশত, কোন পাইলটরা ধর্মঘটে যাবেন সে বিষয়ে বিএলপিএ বিস্তারিত না জানানোয় কারা কাজে আসবেন তা আমাদের পক্ষে অনুমান করার উপায় ছিল না। তাই শতভাগ ফ্লাইট বাতিল করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না।’ গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবারের ধর্মঘটের পর দ্বন্দ্বের সমঝোতা না হলে ২৭ সেপ্টেম্বর আরেক দফা ধর্মঘটের ঘোষণা রয়েছে পাইলটদের। তবে উভয়পক্ষই আলোচনায় আগ্রহী বলে জানিয়েছে।

বিএলপিএর দাবি, মুনাফা থেকে পাইলটদের আরো বেশি ভাগ দেওয়া উচিত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ)। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমান বেতন ন্যায্য হওয়ায় ধর্মঘট বেআইনি। ধর্মঘটের কারণে হাজার হাজার গ্রাহককে বিকল্প ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হয়। ধর্মঘটের আগে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের ধরন নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। বিএলপিএর সাধারণ সম্পাদক ব্রায়ান স্ট্রুটন বিবিসি রেডিওকে বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তির একটি উপায় বের হবে বলে আমরা আশাবাদী।

৯ মাস ধরে সমঝোতার চেষ্টার পরও দুঃখজনকভাবে আমাদের ধর্মঘটে নামতে হয়েছে। কারণ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আপসে রাজি না। গত সপ্তাহে বিএলপিএর দেওয়া একটি সমঝোতা প্রস্তাবকে ‘শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে তৈরি প্রস্তাব’ আখ্যা দিয়ে তাতে সৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিমান সংস্থাটি। বিএলপিএ বলেছি, এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে আলোচনায় রাজি হলেই তারা এ সপ্তাহের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিত।

উভয়পক্ষকে বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের একজন মুখপাত্র। ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যথাযথভাবে অবহিত করেনি বলে যাত্রীদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএ)। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অধিকারগুলো জানানোর দায়িত্বের কথাও বিমান সংস্থাটিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ধর্মঘট চলাকালীন বিমান পরিবহন সংস্থাকে অবশ্যই ফ্লাইটের অর্থ ফেরত বা সমমানের আয়োজনে যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বা পরবর্তী তারিখে নতুন ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close