reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

তাপস পালের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড

তাপস পালের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো টলিউড। এই চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। আচমকা এমন মৃত্যুর খবরে ভেঙেও পড়েছেন কেউ কেউ। প্রিয় অভিনেতা ও সহকর্মীকে

হারিয়ে টলিপাড়ার খ্যাতিমান তারকা ও নির্মাতারা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমে শোক প্রকাশ

করেছেন। তাদের শোকবার্তা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

রঞ্জিত মল্লিক

খবরটা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমরা অনেক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব ছবিই জনপ্রিয়। তার মধ্যে গুরু দক্ষিণার মতো সিনেমাও রয়েছে। খবরটা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি তো। আর কী বলব বলুন? আত্মার শান্তি কামনা করি।

দেবশ্রী রায়

কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না তাপস নেই। আপনজনকে হারিয়ে ফেললাম।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

বাংলা চলচ্চিত্রের দুঃসময়ে ‘দাদার কীর্তি’ মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবি দিয়ে নতুন আলো দেখেছিল বাংলা সিনেজগৎ। তাপস শুধু আমার অভিনয় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, একজন ভাল বন্ধুও ছিল। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়া বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে একটা নক্ষত্রপতন বলতে পারি। ওকে হারিয়ে আমি একজন সহকর্মীকেই শুধু হারালাম না, একজন বন্ধুকেও হারালাম। ওর স্থান পূরণ হওয়ার নয়।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

একটা যুগ, একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অবসান হলো। তাপসদার হাসি, অভিব্যক্তি আর অভাবনীয় অভিনয় ক্ষমতা বাঙালিকে চিরকাল আবিষ্ট করে রাখবে। একটা বড় ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে আমাদের সবার প্রিয় তাপসদা। অনেক দুর্দিনে তিনি সুদিন দেখিয়েছেন বাংলা সিনেমাকে, বাঙালি দর্শককে। তার ভুবন ভরানো হাসির ছোঁয়া সবার মানসপটে জ্বলজ্বল করবে চিরদিন। অনেক স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা পেয়েছি এই মানুষটার কাছে। তার স্ত্রী নন্দিনীদির কাছে। হয়তো অনেক বড় অভিমান নিয়েই চলে গেলেন এই মানুষটা। সবার অগোচরে, নিঃশব্দে। তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থাকো। Will miss you Tapasda.

দেব

যখন অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় তখন তাপস পাল সুপারস্টার। ওনার অভিনয় দেখেই বড় হয়েছে এই প্রজন্ম। ‘চ্যালেঞ্জ-২’ আর ‘মন মানে না’ ছবিতে তাপস পালের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। তখনই বুঝেছিলেন শুধু অভিনেতা নন, একজন বড় মাপের মানুষও তিনি। অনেককে সাহায্যও করতেন। যারা অভিনয় ভালবাসেন তারা তাপসদার ভক্ত ছিলেন এবং থাকবেন। তিনি যেভাবে অভিনয় করে গিয়েছেন, তা সারা জীবন থেকে যাবে। বাংলা ছবি যতদিন বেঁচে থাকবে, তাপস পালও বেঁচে থাকবেন।

পায়েল

সময়টা ২০০৬ বা ২০০৭। ‘আই লাভ ইউ’ ছবির শুটিং চলছিল। আরাকু ভ্যালিতে। আমার প্রথম শট-টাই ওর সঙ্গে। আমি তো বেশ টেনশনে। একে তো আমার প্রথম বড় ব্রেক! সঙ্গে রবি কিনাগীর মতো বড় পরিচালক! এতেই শেষ নয়, উল্টোদিকের অভিনেতা তাপস পাল। ঠিক এমন সময়েই পাশে দাঁড়ান সুদর্শন মানুষটি। আউটডোরে এসেই সব কিছু এমনভাবে সহজ করে দিলেন যে আমি ভুলেই গেলাম, আমি ‘তাপস পাল’-এর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছি। আর অদ্ভুত ভাবে শট-ও ‘ওকে’ হয়ে গেল। খেয়াল করে দেখলাম, এমনিতে চুপচাপ মানুষ। অথচ সেটে একদম আলাদা। দারুণ মজা করতেন। ‘আই লাভ ইউ’ ছবিতে আমার দাদা হয়েছিলেন উনি। বাস্তবেও ‘হি ওয়াজ লাইক আ বিগ ব্রাদার টু মি’। কেরিয়ারের শুরু সে সময়। কিচ্ছু বুঝতাম না জানেন, কীভাবে ক্যামেরা ফেস করতে হয়, কীভাবে শট দিতে হয়, টেকনিকাল জিনিসের খুঁটিনাটি...সব কিছু হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন তাপস দা।

জাস্ট মানতে পারছি না। মনে হচ্ছে অভিভাবক হারালাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close