২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে যান বাংলা সিনেমার শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্যাহ খান। দেখতে দেখতে আজ তার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। খলিলের দ্বিতীয় ছেলে মুসা খান জানান, তার বাবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবারই বাসায় রাজধানীর নূরজাহান রোডে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আবার মহল্লার বেশ কয়েকটি সংগঠন মিলে বাদ জোহর নূরজাহান রোড জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া এবং পরে কাঙালিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

মুসা খান বলেন, ‘আমার আব্বার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করেন।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘খলিল ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা। তারাই আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাদের সৃষ্ট আলোর পথেই আমরা হেঁটে চলছি। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমিতির পক্ষ থেকে দোয়া করা হবে।’

এদিকে ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন খলিল উল্যাহ খান। খলিল প্রায় ৮০০ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এই সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরো অনেকে। খলিল অভিনীত প্রথম সিনেমা কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’। এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান। নায়ক হিসেবে খলিল অভিনয় করেছেন কাজল, প্রীত না জানে রীত, জংলি ফুল, বেগানাসহ আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে তিনি শবনমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়েই সবচেয়ে বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

"