বিনোদন প্রতিবেদক

  ২২ মার্চ, ২০১৯

সেকেন্ড সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯

বীরেন মুখার্জীর ‘ঘোর’ প্রদর্শিত হবে ২৮ মার্চ

কলকাতার নন্দনে অনুষ্ঠেয় ‘সেকেন্ড সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’-এ ২৮ মার্চ প্রদর্শিত হবে কবি বীরেন মুখার্জী নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘোর দ্য ইনটেন্স অব লাইফ’। অন্যান্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে ‘ঘোর’ প্রদর্শিত হবে বৈকালিক পর্বে। স্বাধীনতা-পরবর্তী ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশের একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার করুণ জীবনযাপন ও দাম্পত্য রসায়ন উপজীব্য করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়াও ঘোরের গল্পে উঠে এসেছে বাঙালির ঐতিহ্য, মিথ, ব্রিটিশ শাসনামলে নীল চাষের পরিপ্রেক্ষিত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি প্রসঙ্গ। আট দেশীয় এ চলচ্চিত্র উৎসবে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৩৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মনোনীত হয়েছে বলে ‘ঘোর’-এর কো-অর্ডিনেটর এসডি প্রিন্স জানান।

এ প্রসঙ্গে নব্বইয়ের কবি-নির্মাতা বীরেন মুখার্জী জানান, প্রথাগত চিন্তার বাইরে ভিন্নতর কিছু একটা উপহার দিতে ‘ঘোর’ দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা মাথায় আসে। গল্পটি ১৯৯৭ সালে বাস্তব একটি ঘটনার সূত্রে লেখা হয়েছিল। সেসময় অধুনালুপ্ত ‘আজকের কাগজ’ সাময়িকীতে এটি প্রকাশিত হয়। গল্পটি নিয়ে কয়েকজন নির্মাতা আগ্রহ দেখালেও তিনি কাউকে অনুমতি দেননি। সেই ‘ঘোর’ এখন আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ঘোর দ্য ইনটেন্স অব লাইফ’-এর চিত্রায়ণ হয় ঢাকার অদূরে গোলাপগ্রামখ্যাত সাভারের সাদুল্লাপুর গ্রামে। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোর নিয়ে আলোচনাও হয়। তিনি ঘোর সংশ্লিষ্ট শিল্পী, কলাকুশলী এবং যারা নানাভাবে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ঘোর-এ অভিনয় করেছেন মঞ্চশিল্পী উম্মে হাবীবা, রাকিব হোসেন ইভন ছাড়াও তুষার প্রসূন, হিমাশু বর্মণ, সুমাইয়া আক্তার নদী, মাস্টার মাহিদসহ সাদুল্লাপুর গ্রামবাসী। সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন রাসেল তুষার এবং প্রধান সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন রায়হান জয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close