অভিনয়ে যখন ঈশিতা দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছিলেন, তখন থেকেই তার ভক্তরা তার অভিনীত নাটক দেখার অপেক্ষায় থাকতেন। কিন্তু সময় যত গড়ায়, অভিনয় থেকে ঈশিতা দূরে সরে যেতে থাকেন। তার পরও ঈশিতাপ্রিয় দর্শকরা অপেক্ষায় থাকতেই ভালোবাসতেন। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঈশিতাকে এবারের ঈদে দেখা যাবে ছোট পর্দায় একটি নাটক ও টেলিফিল্মে। জুলাইয়ের শেষপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় ভাই রাজীবের কাছে গেলেন ঈশিতা। সঙ্গে তার স্বামী ও দুই সন্তান যাবির ও আযরিন। সেখানেই ঈদ করবেন এবার। বিরতির পর গেল ঈদে তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাফায়েলের নির্দেশনায় ‘কাঠপেন্সিল’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেন।

তবে ঈশিতা বলেন, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতার অংশের কাজ আমি বেশ ভালোভাবে শেষ করেছি। আমি নিশ্চিত কাজটা ভালো হবে, কারণ প্রত্যেক পরিচালকই চান তার কাজটি যেন ভালো হয়। কিন্তু তার পরও আমি দ্বিধান্বিত, কারণ ঢাকার অংশের কাজটুকু ভালোভাবে শেষ করা হয়নি।’

এই টেলিফিল্মটি আসছে ঈদে একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানান ঈশিতা। গতকাল কেরানীগঞ্জে এই টেলিফিল্মের শুটিংয়ে অংশ নেন মাজনুন মিজান ও বীথি সরকার। এদিকে আগামী ঈদে চ্যানেল আইতে প্রচারের জন্য রেদওয়ান রনি নির্মাণ করেছেন ঈশিতাকে নিয়ে ‘ঝরা পাতার দিন’ নাটকটি। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেন, ‘খুবই প্রস্তুতি নেওয়া এবং হোমওয়ার্ক করা একটি ইউনিট ছিল রেদওয়ান রনির। একজন শিল্পীর কাছ থেকে নির্মাতা কী চান তা বেশ গুছিয়ে বলতে পারেন রনি। ক্যামেরায় নতুন একটি ছেলে নাজমুল কাজ করেছেন, এক কথায় তার কাজে মুগ্ধ আমি। মূল কথা হলো রনির ইউনিটের প্রত্যেকের মাথায় এটি ছিল যে একটি ভালো কাজ করতে হবে। আমি খুবই আশাবাদী ঝরা পাতার দিন নাটকটি নিয়ে।’

অভিনয়ে এখন নিয়মিত দেখা যায় না কেন আপনাকে? জবাবে ঈশিতা বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে ভালো স্ক্রিপ্ট পেলেই হলো না, সময়টাও আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটাই সত্যি, আমার ভক্ত-দর্শকের কথা চিন্তা করেই আমি কাঠ পেন্সিল এবং ঝরা পাতার দিনে অভিনয় করেছি।’ প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় ‘বিহঙ্গ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঈশিতা। এরপর আর গল্প ভালো লাগেনি বিধায় নতুন কোনো চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যায়নি। চার বছর আগে ঈশিতা শহীদুজ্জামান সেলিমের নির্দেশনায় ‘চোর গেল ভূত এলো’, ‘ভূত গেল ডাকাত এলো’ নাটকে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন। এরপর তাকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি।

"