বিনোদন প্রতিবেদক
‘আমি কয়েদি নম্বর ২৫০২৭’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় গত সোমবার জামিন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা মামলায় তাকে ৫ জুন রাত দেড়টায় গ্রেফতার করা হয়। কয়েদি হিসেবে কারাবাসের দিনগুলো ভুলে এবার পুরোপুরি মনোযোগ গানেই দিতে চান বলে জানালেন জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ।
কারাগারের পাঁচটি দিন কেমন কেটেছে? প্রশ্নটি হয়তো ভক্তদের মনে ঘুর ঘুর করছে? কিন্তু নিজ থেকেই ‘কয়েদি নম্বর’সহ সেই অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন আসিফ আকবর। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের টাইমলাইনে এক স্ট্যাটাসে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করলেন তিনি।
আসিফ লিখেছেন, ‘আমি কয়েদি নম্বর ২৫০২৭। কারাগারের উঁচু প্রাচীরগুলো ভয়জাগানিয়া। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢুকলাম কারা হাসপাতালের কেবিনে। একজন মুরব্বির নেতৃত্বে মাগরিবের নামাজের জামাত চলছে। বাইরে ঝোলানো ভয়ানক তালা, ঢুকতে হলো চার দেয়াল আর লোহার গারদবেষ্টিত কক্ষটিতে। মনে হচ্ছিল বাবা-মা হারিয়ে ফেলা অনাথ আশ্রমে আশ্রয় পাওয়া এক এতিম আমি। নামাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে চারদিকের মাপ নিচ্ছিলাম। নামাজ শেষে মাথা নিচু করে হেঁটে গেলাম আমার জন্য রাখা নির্ধারিত বিছানায়। শতসহস্র অনুসন্ধিৎসু চোখের আড়ালে নিজেকে লুকানো অসম্ভব। চোখ ভিজে আসতে চাইছে। দৃঢ়তা আর সততার ট্যাবলেট খাওয়া সিদ্ধান্ত- নাহ...পানি বের হতে দেওয়া যাবে না, শুধু রক্তই বেরুতে পারে।’
‘ব্যাগটি রেখে গোসলে গেলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাড়াহুড়োয় আনা হয়নি, এগিয়ে এলো আরেক কয়েদি প্লাস রাইটার-শাওন। তার অধীনেই চলে এই অবরুদ্ধ কক্ষটি। সবাই তাকাচ্ছে আমার দিকে, আমি কুঁকড়ে আছি নতুন পরিচয় হজমের আতঙ্কে। কবে আসবে রূপকথার ফিনিকস পাখিটা! আর কত দিন গল্প শুনে যেতে হবে! আমিই তো ফিনিকস, আজন্ম এক যোদ্ধা, আমার অদম্য অগ্রযাত্রা থামবে শুধু মৃত্যুতেই...।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘মুহূর্তেই ঝেড়ে ফেললাম অতীত, মুখে নিয়ে আসলাম বিজয়ীর হাসি। সবার সঙ্গে হাত আর বুক মেলানো শুরু।’
"