বিনোদন প্রতিবেদক
উৎসবে নিষিদ্ধ আমদানি চলবে যৌথ প্রযোজনার ছবি
ঈদসহ যেকোনা উৎসবে সিনেমা হলে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ছাড়া কোনো ধরনের আমদানি করা ছবি প্রদর্শন করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে যেসব ছবি যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ হবে তা মুক্তি পাবে উৎসবে।
এর আগে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে বিদেশি ছবি প্রদর্শন করা যাতে না হয় এমন নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নিপা এন্টারপ্রাইজের পক্ষে প্রযোজক সেলিনা বেগম। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
এ বিষয়টি নিয়ে তখন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, যৌথ প্রযোজনায় ভারত, পাকিস্তান কিংবা বিদেশি কোনো ছবি দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখসহ বিশেষ দিবসে প্রদর্শন করা হয়। উৎসবগুলোকে এসব ছবি প্রদর্শনের ফলে দেশীয় ছবি হুমকির মুখে পড়ছে। এতে দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এ কারণে আদালতে রিট দায়ের করা হয়।
পরে গত ১০ মে এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ, পূজা এবং পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে বাংলাদেশি ছাড়া কোনো ধরনের আমদানি ও যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনা ও আমদানিকরা ছবি বাংলাদেশের উৎসবে মুক্তি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আর চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্যসচিব, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (চলচ্চিত্র) রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এরপরই এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন হলমালিকরা।
হলমালিকদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দারকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ দল এই নির্দেশ দেন।
আপিলের শুনানি শেষে ঈদসহ জাতীয় উৎসবের সময় যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ছাড়া আমদানি করা সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে না বলে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন। আর রিটের পক্ষে ছিলেন আজমালুল হোসেন কিউসি, সঙ্গে ছিলেন মনিরুজ্জামান।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর করা আপিলে কিছু সংশোধনী দিয়ে নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, যৌথ প্রযোজনায় করা সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে, তবে আমদানি করা ছবি কোনো উৎসবে প্রদর্শন করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের এই রায়ে আসছে ঈদে কলকাতার ছবি ‘ভাইজান এলো রে’ এবং ‘সুলতান’ নামে দুটি ছবিরই আমদানি চুক্তিতে বাংলাদেশে মুক্তি পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
"