নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

রব-রতনের দ্বন্দ্বে ভাঙছে জেএসডি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরামে ভাঙনের পর এবার আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলেও (জেএসডি) ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জেএসডি ভেঙে দুটো হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, সেদিকেই যাচ্ছে। জানা গেছে, আগামীতে দলটির হাল ধরাকে কেন্দ্র করেই সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়।

এ প্রসঙ্গে রতন বলেন, ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, কোটারিতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিচ্যুতির কারণেই মূলত দলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চার বছর ধরে গঠনতন্ত্র নেই। এভাবে দল চলতে পারে না।

এদিকে গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ দলের শীর্ষস্থানীয় আট নেতা বলেন, জেএসডি ঘোষিত ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিল-২০১৯ সম্পূর্ণ অবৈধ। গত ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে কোনো গঠনতন্ত্র উপস্থাপিত ও অনুমোদন হয়নি। জাতীয় পরিষদের সভা ডেকে পরবর্তী সময়ে সব ঠিক করে নেওয়া হবে বলার চার বছর পার করে দেওয়া হয়েছে অথচ আজও তা করা হয়নি। এর মধ্যে আগের গঠনতন্ত্রকেও লঙ্ঘন করে সাত সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয় যা অনুমোদিত নয় ও সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক। এ কমিটির মাধ্যমে গঠিত কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি ও দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এম এ গোফরানকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে বহিষ্কার ঘোষণা সবই অবৈধ। কাজেই এ কাউন্সিল অগণতান্ত্রিকভাবে ব্যক্তি বিশেষের অবৈধ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এভাবে চলতে থাকলে দ্বিতীয় রাজনৈতিক ধারার ভিত্তিতে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার দাবির রাজনীতির কবর হবে। অথচ আজ সর্বস্তরে জনগণের অংশীদারিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রশাসন গড়ে তোলা সময়ের দাবি। গত কয়েক মাস ধরে দলের একটি অংশ স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আঁতাতকে গভীর থেকে গভীরতর করে চলছে। তাই দেশে স্বাধীন দেশের উপযোগী রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রশাসন গড়ে তোলার আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় কনভেনশন ও কনভেনশনে দলের গঠনতন্ত্র ঘোষণা পত্রসহ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। দলকে ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, কোটারিতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিচ্যুতি থেকে মুক্ত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গণতন্ত্র চর্চা।

বিবৃতিতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ দলের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এম এ গোফরান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আতাউল করিম ফরুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া খোন্দকার, দেলওয়ার হোসেন ও মোশারফ হোসেন এবং শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষর করেন।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সহধর্মিণী তানিয়া রব বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে এমন মতভেদ হতেই পারে। তাতে দলে ভাঙন হবে না। আলাপ আলোচনা চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close